শোষণ ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য : স্পিকার

372

ঢাকা, ৪ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, শোষণ ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবিুর রহমানের রাজনীতির লক্ষ্য ছিল।
আজ সোমবার বিকালে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ৪৮তম সংবিধান দিবসে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও ১৯৭২-এর সংবিধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। আইন সহায়ক কমিটি-একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, এ দেশের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য। এখন সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামাজিক নিরাপত্তা, সুদৃঢ় অর্থনীতির ওপর রাষ্ট্রকে গড়ে তুলতে শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। উন্নয়নের অন্য মডেল হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবেন প্রধানমন্ত্রী এ আশা ব্যক্ত করেন স্পীকার।
আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তৃতা রাখেন ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, আইন সহায়ক কমিটির সভাপতি খোন্দকার আবদুল মান্নান, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গাজী শাহ আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইন সহায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আজহার উল্লাহ ভূঁইয়া।
শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, রাষ্ট্রের মূলনীতি সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়। রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকে সংবিধানের আলোকে। নির্বাহী, লেজিসলেটিভ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতার পৃথককরণ সন্নিবেশিত থাকে যাতে পাস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় থাকে । শুধুমাত্র মুলনীতিই সংবিধানে থাকে না আমাদের মূল্যবোধও তাতে যুক্ত থাকে।