বাসস দেশ-২৯ : বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত কমিশন জরুরী : জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা

123

বাসস দেশ-২৯
বঙ্গবন্ধু পরিষদ-জেলহত্যা
বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত কমিশন জরুরী : জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা
ঢাকা, ৩ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা জরুরি। এটি করা হলে সেদিনের ঘটনার প্রকৃত চিত্র দেশের মানুষ জানতে পারবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর সংঘঠিত ইতিহাসের নৃশংসতম জেলহত্যা দিবস স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দিন, বুয়েটের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মফিজুর রহমান ও নেপালের সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক।
এস এ মালেক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা হত্যা করেছিল। আর একই বছরের ৩ নভেম্বর ওই একই শক্তি জাতীয় চারনেতাকে জেলের ভেতর হত্যা করেছিল। খোন্দকার মোশতাক আহমেদ রাজনৈতিকভাবে এবং জিয়াউর রহমান সামরিক শক্তির সহায়তায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছিল। তারা কখনও মুক্তিযোদ্ধা ছিল না, অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে গুপ্তচর বৃত্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষা ও আন্তর্জাতিক চক্রের ক্রীড়ানক হিসেবে কাজ করাই ছিল তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
মালেক বলেন, এদেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির প্রবর্তক ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া। তা না হলে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সব কিছুই জানতেন , কিন্তু তিনি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার কোন উদ্যোগ নেননি। সেনাবাহিনীর বিপথগামী অফিসারদের দমন না করে তাদের উস্কানী দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন।
সিরাজ উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেল হত্যার বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা জরুরী। তাহলে সেদিনের ঘটনার প্রকৃত চিত্র জাতি জানতে পারবে এবং প্রকৃত অপরাধি চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
বাসস/সবি/এমএএস/১৮৫৫/কেএমকে