বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার আত্মত্যাগ জাতি যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে

218

ঢাকা, ৩ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস): জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগ জাতি যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে।
আজ রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা হাজার বছরেও কাটিয়ে ওঠার মত নয়। কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ডের মদদদাতাদের খুঁজে বের করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকান্ড আর না ঘটে।
১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভা পরিচালনা করেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল মতিন খসরু ও এডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বাঙ্গালীকে নেতৃত্ব শূণ্য করার জন্যই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর উত্তরসুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই আজ দেশ উন্নত হচ্ছে। বিশ্ববাসী আবাক হয়ে দেখছে কি ভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই জন্যই বিশ্বে হাতে গোনা কয়েকজনের মধ্যে শেখ হাসিনা একজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যত এগিয়ে যাবে ষড়যন্ত্র তত গভীর হবে। শেখ হাসিনা সকল হত্যার বিচার করেছেন বলেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র গভীর হচ্ছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাই জাতীয় ঐক্য করতে হলে আগে দলীয় ঐক্য করতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী যাতে কেউ নেতৃত্বে আসতে না পারে সে জন্যই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে এবং জাতীয় চার নেতাকে জেলা খানায় হত্যা করা হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা হাজার বছরেও কাটিয়ে ওঠার মত নয়। এই রাজনৈতিক শূন্যতা অপূরণীয় ক্ষতি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশবিরোধী শক্তি এখনও রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এই সকল চক্রান্ত মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।