দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা বিএনপি নেতাদের মুখে শোভা পায় না : মোহাম্মদ নাসিম

196

ঢাকা, ২ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা বিএনপি নেতাদের মুখে শোভা পায় না।
বিএনপি’কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন বাংলাদেশ তো ৫ বার দুর্নীতিতে চাম্পিয়ন হয়েছে। তাই দুর্নীতি নিয়ে কথা আপনাদের মুখে মানায় না। আপনাদের নেত্রী দুর্নীতির কারনে এখন জেলে। তাই আর যাই হোক দুর্নীতি নিয়ে কথা বিএনপি নেতাদের মুখে শোভা পায় না।’
মোহাম্মদ নাসিম আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ২১ তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত অভ্যর্থনা কমিটির প্রস্তুতি উপলক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত অভ্যর্থনা কমিটিতে মোহাম্মদ নাসিমকে আহবায়ক এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনিকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
‘দুর্নীতির কারনে আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যাবে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র নেত্রী যিনি নিজের দল থেকে দুর্নীতি বিরাধী অভিযান শুরু করেছেন। অতীতে এই সাহস কেউ দেখাতে পারেনি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনাই এক মাত্র নেত্রী যিনি নিজ ঘর থেকে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করেছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল হত্যার বিচার করছেন। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে কোন হত্যার বিচার করনেনি, বরং খুনিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে। এই কারনেই আজ তাদের এই অবস্থা। নিজেদের ভুলের কারনে বিএনপি আজ ধ্বংস হতে বসেছে।
অভ্যর্থনা কমিটির বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরে কমিটির সদস্য সচিব ড. দীপু মনি বলেন, আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে ৫০ এর অধিক বিদেশী মেহমানকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। তবে এ বার ২১তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে কোন বিদেশী মেহমানকে আমন্ত্রন জানানো হবে না।
তিনি বলেন, আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ পালন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে বিদেশীরা আসবেন, এজন্যই সম্মেলনে কোন বিদেশী অতিথিদের আমন্ত্রন জানানো হবে না।
সভায় আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও এডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়–য়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবির কাওছার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।