বাসস দেশ-১৯ : সরকারি প্রকল্প ২ লাখ পরিবারকে জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল করেছে

246

বাসস দেশ-১৯
জলবায়ু-গৃহস্থলী-সরকার
সরকারি প্রকল্প ২ লাখ পরিবারকে জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল করেছে
ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : দুর্যোগপ্রবণ সাতটি জেলার প্রায় দুই লাখ অসহায় পরিবার সরকারের নেয়া একটি প্রকল্প থেকে জলবায়ু পরিবর্তনে নিজেদের সহনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুফল পাচ্ছে।
প্রকল্প কর্মকর্তা জানান, লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিসিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এলওজিআইসি) নামক প্রকল্পটি ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫ শ’ ৬৮ মার্কিন ডলার ব্যয়ে খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, কুড়িগ্রাম ও সুনামগঞ্জ জেলার ৭২ টি ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়ন করছে।
খুলনা জেলা অনুদান পর্যবেক্ষণ ও সহায়তাকারী কর্মকর্তা মো. আসাদুল হক বাসসকে জানান, প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা করে পাচ্ছে এবং ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা বাড়াতে প্রকল্পের তহবিলের অর্থ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, খুলনার ১০ টি অতি সংবেদনশীল ইউনিয়ন প্রায় আট কোটি টাকা পাচ্ছে এবং ১৮ টি ইউনিয়ন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় তাদের সক্ষমতা জোরদার করতে প্রায় ১২ কোটি টাকা পাচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা অনুদান ও সহায়তাকারী ফেরদৌসী শারমিন বলেন, অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদান করা ছাড়াও প্রকল্পটি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলিকে জীবিকার বিকল্প তৈরিতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় ১৮ হাজার পরিবারের প্রতিটিকে ৩ শ’ ২০ মার্কিন ডলার প্রদান করা হয়।
এলওজিআইসি প্রকল্পটি সরকারের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে জলবায়ু পরিবর্তনে সহনশীলতা তৈরির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সংযুক্ত করছে উল্লেখ করে শারমিন বলেন, স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করা হচ্ছে, যাতে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলোকে তাদের পরিকল্পনা ও কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বার্ষিক বাজেট এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে ব্যাপারে স্থানীয় সরকার সংস্থার কর্মকর্তারা চেষ্টা করছে।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল বলেন, প্রকল্পটির সহায়তা নেয়ার পরে তার ইউনিয়নের মহিলাদের কাঁকড়া চাষের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং তারা সবাই এখন কাঁকড়া চাষ করছে।
বাসস/এমআরআই/অনু-এসই/২০২৫/জেহক