বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ : দেশের কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে সমবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে : প্রধানমন্ত্রী

155

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২
শেখ হাসিনা-বাণী
দেশের কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে সমবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশের কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে সমবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকারের ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ শ্লোগান বাস্তবায়নেও সমবায়কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
আগামীকাল জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’- এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ৪৮তম জাতীয় সমবায় দিবস সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পল্লী অঞ্চলে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের মাধ্যমে পল্লীর মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপযুক্ত প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার আগামী ২০২০-২০২১ সালকে মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ দেশের সমবায় উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে মূল্যায়িত করে এবারের জাতীয় সমবায় দিবসের কার্যক্রম একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।’
আওয়ামী লীগ সরকার সমবায়কে অগ্রাধিকার দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দেশে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬০৪টি সমবায় সংগঠন রয়েছে, যার সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৫০ জন। দেশের কৃষি, মৎস্য চাষ, পশু পালন, দুগ্ধ উৎপাদন, পরিবহন, ক্ষুদ্র ব্যবসা, আবাসন, পুঁজি গঠন ও নারীর ক্ষমতায়নে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, ‘গত অর্থবছরে আমরা ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি ২০২৩-’২৪-এ আমরা ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করব এবং এই ধারা ২০৪১ পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে সমর্থ হব।”
প্রবৃদ্ধি অর্জনের এ ধারা অব্যাহত রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদায় উন্নীত হতে বদ্ধপরিকর বলে তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের। সে স্বপ্ন পূরণে তিনি সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় সংবিধানে তিনি সমবায়ে মালিকানার স্বীকৃতি প্রদান করেন এবং গ্রামভিত্তিক গণমুখী সমবায় সংগঠনের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষি সমবায় সমিতি, মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, তাঁতী সমবায় সমিতি ও শিল্প সমবায় সমিতি গড়ে তোলেন। আজ বাংলাদেশের অন্যতম সমবায়ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা জাতির পিতারই হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান।
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৯১১/এইচএন