‘শিশির’ বড় ভূমিকা রাখবে ইডেন টেস্টে : টেন্ডুলকার

181

কলকাতা, ১ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : আগামী ২২ নভেম্বর থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ-ভারত। এই প্রথমবারের মত দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ ও ভারত। দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচটি সাফল্য নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে ভারতীয় কিংবদন্তী শচিন টেন্ডুলকারের মতে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট সফল হওয়া না- হওয়া সবকিছুই নির্ভর করছে ‘শিশিরের’ উপর।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের মত দেশের মাটিতে দিবা-রাত্রির টেস্টে আয়োজনের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নয়া সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর প্রশংসাও করেছেন টেন্ডুলকার। তিনি বলেন, ‘কলকাতা টেস্টে শিশিরের প্রভাব থাকবে অনেক বেশী। তবে শিশির সমস্যা না করলে দিবা-রাত্রির টেস্ট দারুণ একটা উদ্যোগ হতে যাচ্ছে। দর্শকদের দিক থেকেও এটি খুব ভাল উদ্যোগ। দিনের কাজ সেরেও মানুষ মাঠে এসে খেলা দেখতে পারবেন। এমনকি সন্ধ্যায়ও মাঠে এসে খেলা দেখা যাবে।’
শুধুমাত্র দর্শকরাই নন, বাংলাদেশ-ভারত খেলোয়াড়দের জন্যও অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হবে বলে মনে করেন টেন্ডুলকার। তিনি বলেন, ‘এত দিন টেস্ট ম্যাচ লাল বলেই খেলছিল দু’দলের ক্রিকেটাররা। এ বার তারা বুঝবে, লাল বলের চেয়ে গোলাপি বল কতটা অন্য রকম আচরণ করতে পারে।’
টেস্ট শুরুর আগেই ‘শিশির’ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। কারণ এ মাস থেকে শীতের আবহ বিরাজ করবে ভারতজুড়ে। ফলে সন্ধ্যার পর থেকেই শিশিরের দাপটও দেখা যাবে। এর মধ্যে আবার গোলাপি বলে খেলা হবে। তাই শিশিরে গোলাপি বল ভিজে যাবে। আর তাতেই সমস্যা হতে পারে। এতে করে বোলারদের জন্য পরিস্থিতি সামলানো খুবই কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এমনই মনে করছেন টেন্ডুলকার, ‘শিশিরের প্রভাব না থাকলে দিবা-রাত্রির টেস্ট সফল হবে। কিন্তু শিশিরের প্রভাব যদি বেশি থাকে তা হলে বোলারদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। পেসার-স্পিনার সবারই সমস্যা হবে।’
বর্ণাঢ্য ২৪ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা থেকে ইডেনের শিশির নিয়ে টেন্ডুলকার বলেন, ‘বছরের এই সময়ে ইডেনে শিশির পড়ে। আমার মনে হয়, শিশির খুব বড় ভূমিকা নিতে পারে ইডেনের টেস্টে। দেখতে হবে, কতটা শিশির থাকতে পারে, কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। পরিবেশ খুব বেশি করে ম্যাচের গতি প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করুক কেউ তা চায়না।।’
দিবা-রাত্রির টেস্টে গোলাপি বল দিয়ে কিভাবে নিজেকে তৈরি করতে হবে, সেই টোটকাও দিয়েছে টেন্ডুলকার। তিনি বলেন, ‘নেটে নানা ধরনের বল দিয়ে অনুশীন করতে হবে ব্যাটসম্যানদের। নতুন গোলাপি বলে এবং ২০ ওভারের পুরনো গোলাপি বল দিয়েও অনুশীলন করতে হবে। ৫০ এবং ৮০ ওভারের পুরনো গোলাপি বল দিয়েও খেলে নেওয়া উচিত। এভাবেই খেলেই ব্যাটসম্যানদের তৈরি হতে হবে।’
গোলাপি বলের রং ধরে রাখার জন্য পিচে অন্তত ৮ মিলিমিটার ঘাস রাখা দরকার বলেও মত রয়েছে। তাতে সুবিধা পেতে পারেন পেসাররা। টেন্ডুলকার যদিও বলছেন, ‘পেসাররা বেশি সাহায্য পেতেই পারে। কিন্তু ভাল স্পিনার হলে সে-ও জানবে, কী ভাবে এই পিচে বল করতে হবে। পিচে কতটা বাউন্স আছে, কতটা বল পিছলে যাচ্ছে, থমকে যাচ্ছে কি না, সে সব বুঝে নেওয়া হবে স্পিনারের প্রথম কাজ।’
গোলাপি বলের খেলায় উইকেটরক্ষকের ভুমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে মনে করছেন টেন্ডুলকার। তিনি বলেন, ‘বল কী রকম আচরণ করছে, সে ব্যাপারে উইকেটকিপারের দেওয়া তথ্য খুব কাজে লাগবে দলের।’