কম্পিউটার বিপ্লবের জাতীয় বীর হানিফউদ্দিনের জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর

365

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার দেশের কম্পিউটার বিপ্লবের জাতীয় বীর হানিফ উদ্দিন মিয়ার জীবনী শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকে অন্তভূক্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি আজ রাজধানীর ডাক অধিদপ্তর মিলনায়তনে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার মো. হানিফউদ্দিন মিয়া স্মরণে অধিদপ্তরের উদ্যোগে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় হানিফউদ্দিন মিয়ার সহধর্মিনী ফরিদা বেগম ও তার পুত্র ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শরীফ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তফা জব্বার বলেন, ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার সূচনা সম্ভব হতো না যদি ১৯৬৪ সালে এই অঞ্চলের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার মো. হানিফউদ্দিন মিয়া তা শুরু না করতেন।
তিনি বলেন, সে দিন একটি মাত্র আইভিএম ১৬২০ মডেলের কম্পিউটার থেকে হানিফ মিয়ার হাত ধরে একটি কমিউনিটির ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল। এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কম্পিউটার।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বে আজ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এখনও অনেকে জানেন না যে, বাংলাদেশে কম্পিউটারের প্রথম প্রোগ্রামার কে তা এখনো অনেকে জানে না। ।এমনকি যারা কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়ে তারাও জানে না যে কার হাত ধরে ’৬৪ সালে আমরা কম্পিউটারের যুগে পা ফেলেছিলাম। মানুষটি যেমনি বিস্মৃত তেমনি ঘটনাটিও।
তিনি বলেন, ৯৭ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রথম আমাকে কম্পিউটার বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান করার অনুমতি প্রদান করে। আমি ’৬৪ সালে বাংলাদেশে আসা প্রথম কম্পিউটার নিয়ে আমার প্রথম টিভি অনুষ্ঠানটি সাজাই হানিফউদ্দিন মিয়ার সাক্ষাৎকার দিয়ে।
তিনি বলেন, সেই সাক্ষাৎকারটি ছিল বাংলাদেশের কম্পিউটারের ইতিহাসে এক বড় ধরনের মাইলফলক। কারণ হানিফউদ্দিন সেদিন বলেছিলেন এ দেশে কম্পিউটার আসার কথা। তিনি বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের লাহোরে যেতে রাজি না হওয়ায় আমরা কম্পিউটারটি পাই।
বাংলাদেশে কম্পিউটারের প্রথম প্রোগ্রামার হানিফউদ্দিন মিয়াকে মরণোত্তর সম্মাননা জানিয়েছে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৫ শীর্ষক মেলার সমাপনী আয়োজনে হানিফউদ্দিন মিয়ার স্ত্রী ও সন্তানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আজিজুল ইসলামের সভাপত্বিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র বক্তৃতা করেন।