বাসস দেশ-৪২ : দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিদিন ১ লাখ যুবক শ্রম বাজারে ঢুকছে

429

বাসস দেশ-৪২
দক্ষিণ এশিয়া-যুবক
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিদিন ১ লাখ যুবক শ্রম বাজারে ঢুকছে
ঢাকা, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বিপুল সংখ্যক যুবশক্তি রয়েছে এরমধ্যে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ যুবক শ্রমিক শ্রম বাজারে ঢুকছে। নতুন এক গবেষণা এতথ্য জানিয়েছে। গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশন (জিবিসি-এডুকেশন), শিক্ষা কমিশন ও ইউনিসেফ যৌথভাবে গবেষণাটি চালিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় ২০৪০ সাল পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক যুবশক্তি থাকবে যা এর ১০৮ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেক। যাদের বয়স ২৪ বছরের নিচে। আর এই যুবশক্তি হবে প্রধানত: ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের। ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই অঞ্চলে সচল ও উৎপাদনশীল অর্থনীতি পরিচালনার জন্য এটি একটি সম্ভাবনা। দক্ষতা উন্নয়নে সঠিক বিনিয়োগ করা হলে এ অঞ্চলের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার পাশাপাশি আগামী দশকগুলিতে শিক্ষা ও দক্ষতা খাতে সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২১ শতকে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে অন্যান্য অঞ্চল থেকে পরবর্তী তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া পিছিয়ে রয়েছে। কারণ এই অঞ্চলের ৫৪ শতাংশ যুবক পরের দশকে একটি ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন ছাড়াই স্কুল ছেড়ে দেয়।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফোরে বলেন, “২১ শতকে চাকরি খুঁজতে প্রতিদিন দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় এক লাখ যুবক শ্রম বাজারে প্রবেশ করছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকও একুশ শতকের চাকরি করার মত উপযোগী নয়।”
দক্ষিণ এশিয়া তাদের সীমাবদ্ধতার কারণে এমন একটি সংকটাপন্ন অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যা এর মেধাবী ও দক্ষ যুবদের কাজে লাগানোর পক্ষে সীমিত সুযোগ দিতে পারে। তবে একে সঠিক খাতে প্রবাহিত করতে পারলে লক্ষ লক্ষ লোককে দারিদ্র্যমুক্ত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, এটা করতে ব্যর্থ হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিপর্যস্ত হবে। তরুণদের মধ্যে হতাশার উদ্ভব হবে। অন্যান্য অঞ্চলের থেকে তাদের মেধা ঘাটতি ঘটবে। সম্প্রতি ইউনিসেফ আধুনিক অর্থনীতির জন্য তারা কিভাবে প্রস্তুত হচ্ছে এবিষয়ে অনূর্ধ্ব ২৪ বছরের ৩২ হাজার তরুণের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গবেষণার তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার তরুণরা তাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে সেকেলে বলে মনে করেন এবং এই ব্যবস্থা চাকরির জন্য তাদেরকে প্রস্তুত করতে পারছে না বলেও তাদের ধারণা। কাজের অভিজ্ঞতার অভাব (২৬ শতাংশ), অপর্যাপ্ত সেবা সুবিধা (২৩ শতাংশ), ঘুষ দাবি ও বৈষম্যমূলক চাকুরি প্রদান চর্চা ইত্যাদিকে তারা ¯œাতক পাশ করার পরও তাদের চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রধান বাধা বলে মনে করছেন।
“এটি একটি সংকট,” বলেন গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক জাস্টিন ফ্লিট।
ফ্লিট বলেন, চাকরি বাজার মোকাবিলা করে পরবর্তী প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে দক্ষিণ এশিয়াকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
বাসস/পিআর/অনু-এএএ/২১৪০/কেএমকে