বর্জ্য দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় একযোগে কাজ করার আহ্বান গণপূর্ত মন্ত্রীর

201

ঢাকা, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বর্জ্য দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বসতি দিবস-২০১৯ উপলক্ষ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
গৃহায়ন মন্ত্রী বলেন, “এখন থেকে দেশের যেখানে শিল্প হবে সেখানে ইটিপি পদ্ধতি, যেখানে আবাসন হবে সেখানে এসটিপি পদ্ধতিতে বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে নিঃশেষ করা হবে। তা না হলে আমাদের আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। পূর্বাচলে প্রতিটি বাড়ির জন্য আমরা বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের নির্দেশনা রাখবো। সমন্বিত বা ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যবস্থাপনা করা হবে।”
নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত চিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাহাদাত হোসেন । স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী।
অনুষ্ঠানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ রাশিদুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি আ স ম আমিনুর রহমান, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার প্রমুখ বক্তব্য দেন ।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নায়লা আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশেনের নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ মঈনুল ইসলাম, ইজরি সাউথ এশিয়া-এর বাংলাদেশ বিজনেস ম্যানেজার মোহাম্মদ এ হাদি এবং প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন-এর আরবান এ্যান্ড এনার্জি প্রোগ্রামের স্ট্র্যাটেজিক লিড উত্তম কুমার সাহা।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, “ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল করেছেন। তবে এই উন্নয়ন হতে হবে টেকসই উন্নয়ন। ঠুনকো বা অস্থায়ী উন্নয়ন দেশকে ভালো কিছু দিতে পারে না। এজন্য আমরা সারা দেশকে মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় নিয়ে আসছি। ব্যক্তিগত জমিতেও অপরিকল্পিত কিছু করতে দেয়া হবে না। পরিকল্পিত উপায়ে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।”
শ ম রেজাউল করিম বলেন, “দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দুর্নীতির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা ‘জিরো টলারেন্স’। সেটাকে আমরা ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছি। দুর্নীতি যেখানে, সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, “রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে আমরা মাত্র তেরো মাসে বিশতলা ভবন করেছি। এই কৃতিত্ব দেশে কেবল গণপূর্ত অধিদপ্তর দেখাতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের পূর্বাচল প্রকল্প পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব বিধায় এর জন্য বিশ্ব পরিমন্ডলে আমরা পুরস্কার অর্জন করেছি। দেশের বড় বড় অবকাঠামো উন্নয়ন আমাদের হাতে হয়েছে। কিন্তু কিছু ঘটনা আমাদের অর্জনকে কলঙ্কিত করে তোলে। এ কারণে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।”