বাসস ক্রীড়া-৬ : দিবা-রাত্রির টেস্টে ইডেন গার্ডেনের পিচে বেশি ঘাস রাখতে পরামর্শ দলজিতের

111

বাসস ক্রীড়া-৬
ক্রিকেট-পিচ
দিবা-রাত্রির টেস্টে ইডেন গার্ডেনের পিচে বেশি ঘাস রাখতে পরামর্শ দলজিতের
নয়াদিল্লি, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : আগামী মাসে কোলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথমবারের মত দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ-ভারত। ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির এ টেস্টে পিচে বেশি ঘাস রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিসিআই) সাবেক প্রধান কিউরেটর দলজিৎ সিং।
বিসিসিআই’র প্রস্তাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গতকাল মঙ্গল ইডেন গার্ডেনে ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির এ টেস্ট খেলতে সম্মতি দিয়েছে। আগামী ২২ নভেম্বর এ ম্যাচ শুরু হওয়ায় মাঠ প্রস্তুত করতে খুব বেশি সময় পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে ক্রিকটে এ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের ( ক্যাব) জন্য সুখবর হচ্ছে- এখানে গোলাপি বলে বেশ কিছু ম্যাচ আয়োজনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
দীর্ঘ ২২ বছর ইন্ডিয়ান ক্রিকেটকে সেবা দেয়ার পর গত মাসে অবসরে যাওয়া দলজিৎ বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘দু:শ্চিন্তার অন্যতম একটি হবে শিশির। এ বিষয়ে কোন সেন্দহ নেই। তাদের বুঝতে হবে যে, এটি একটি প্রতিবন্ধকতা যা আপনি মুছে ফেলতে পারবেন না।’
প্রথম শ্রেনীর সাবেক ক্রিকেটার ৭৭ বছর বয়সী দলজিৎ আরো বরেন, ‘এ থেকে পরিত্রান পেতে আউট ফিল্ডে আপনাকে কিছুটা ঘাস রাখতে হবে এবং পিচে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড় ঘাস রাখাও দরকার হবে। আউট ফিল্ড যত বেশি ভারী হবে শিশিরকে তত বেশি আকৃষ্ট করবে।’
স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ম্যাচ চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গোলাপি বলের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে পিচে াধিক পরিমান ঘাস থাকা দরকার মনে করছেন দলজিৎ। ২০১৬ সালে দুলীপ ট্রফিতে গ্রেটার নইদায় ফ্লাড লাইটের অধীনে এমনই কিছু করেছিলেন কিউরেটররা।
তিনি বরেন,‘গোলাপি বল খুব তাড়াতাড়ি নোংড়া হয়ে যায় সুতরাং পিচে বেশি পরিমান ঘাস রাখতেই হবে। ২০১৭ সালে এডিলেডে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টের কথা যদি আপনাদের মনে থাকে দেখবেন তারা পিচে ১১ মিমি ঘাস রেখেছিল এখানেও তেমন করতে হবে।’
নিজের নাম প্রকাশ না করে আরেক অভিজ্ঞ কিউরেটর ম্যাচের দুই-তিন দিন আগে আউট ফিল্ডে পানি না ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তার মতে ‘শিশির অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর হবে তবে এ সময় খুব বেশি ঠান্ডা থাকবে না। শিশির বিরোধী কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে।’
ক্যাব কিউরেটর সুজন মুখার্জির মতে শিশির ম্যাচে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন, ‘শিশির থেকে রক্ষা পেতে আগে থেকেই অনেক পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাছাড়া সাধারনত রাত ৮টা- সাড়ে আটটার পর শিশির পড়ে এবং মধ্যরাত পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। তবে যেহেতু ম্যাচ আগেভাগে শুরু হবে তাই ৮টা-সাড়ে ৮টায় শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং আদৌ শিশির কোন সমস্যা হবে না।’
পরীক্ষামূলকভাবে ২০১৬ সালে ক্যাব সুপার লীগ ফাইনাল দিবা-রাত্রির ম্যাচ সফলভাবে শেষ হয়েছিল এবং বল ধরার বিষয়ে কোন অভিযোগ ছিল না বলেও উল্লেখ করেন সুজন।
বাসস/স্বব/১৮২০/এএমটি