বাসস ক্রীড়া-২ : টটেনহ্যামের বিপক্ষে লিভারপুলের গুরুত্বপূর্ণ জয়, এ্যাওয়ে ম্যাচের খরা কাটালো ইউনাইটেড

114

বাসস ক্রীড়া-২
ফুটবল-প্রিমিয়ার লিগ
টটেনহ্যামের বিপক্ষে লিভারপুলের গুরুত্বপূর্ণ জয়, এ্যাওয়ে ম্যাচের খরা কাটালো ইউনাইটেড
লিভারপুল, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : পেনাল্টি স্পট থেকে লিভারপুলের হয়ে এনফিল্ডে ক্যারিয়ারের ৫০তম গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ। আর মিশরীয় তারকার এই গোলেই টটেনহ্যামকে ২-১ গোলে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করে নিয়েছে রেডসরা। এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির থেকে ছয় পয়েন্ট এগিয় গেছে শীর্ষে থাকা লিভারপুল।
এদিকে নরউইচ সিটিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে প্রিমিয়ার লিগে টানা আট মাস এ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের খরা কাটাতে সক্ষম হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এর ফলে কোচ ওলে গানার সুলশারের মনেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। নরউইচের ক্যারো রোড স্টেডিয়ামে স্কট ম্যাকটোমিনে, মার্কোস রাশফোর্ড ও এন্থনী মার্টিয়ালের গোলে দারুন এই ছিনিয়ে নেয় রেড ডেভিলসরা।
এনফিল্ডে অবশ্য ম্যাচ শুরুর মাত্র ৪৭ সেকেন্ডেই হ্যারি কেনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল টটেনহ্যাম। শুরুতেই পিছিয়ে পড়েও উজ্জীবিত পারফরমেন্স নিয়ে কোচ জার্গেন ক্লপকে দারুন একটি জয় উপহার দিয়েছেন সালাহ, হেন্ডারসনরা। ৭৫ মিনিটে সার্জি অরিয়ারের বিপক্ষে পেনাল্টি আদায় করে নেন আরেক তারকা সাদিও মানে। আর স্পট কিক থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন সালাহ। লিভারপুলের হয়ে ৫৮ ম্যাচে এটি তার ৫০তম গোল। এর আগে অবশ্য ৫২ মিনিটে দলের হয়ে সমতা ফিরিয়েছিলেন জর্ডান হেন্ডারসন।
ম্যাচের শেষের দিকে গোঁড়ালির ইনজুরিতে পড়া সালাহকে নিয়ে সমর্থকরা চিন্তিত থাকলেও ক্লপ অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন ইনজুরির মাত্রা মোটেই গুরুতর নয়। ম্যাচ শেষে ক্লপ বলেছেন, ‘আমরা যখন ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিলাম সাথে সাথে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করিনি। আমরা শুধুমাত্র নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ম্যাচের সময় যত গড়িয়েছে আমরা ততই পরিণত হয়েছি। এই পারফরমেন্সে আমি সত্যিই দারুন খুশী। আমি এটা দারুন পছন্দ করেছি। টটেনহ্যামের মত দলের বিপক্ষে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে কাউন্টার এ্যাটাকে খেলা চালিয়ে যাওয়া সত্যিকার অর্থেই অনেক কঠিন কাজ।’
প্রথম মিনিটেই গোল করে স্পার্সদের জার্সি গায়ে ক্লাব ইতিহাসে তৃতীয় যৌথ সর্বোচ্চ ১৭৪তম গোলের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন কেন। দক্ষিণ কোরিয়ান তারকা সং হেয়াং-মিনের শক্তিশালী স্ট্রাইক ডিয়ান লোভরেন হেডের সাহায্যে ক্লিয়ার করতে গেলে তা পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলে এলিসনকে পরাস্ত করেন কেন। এক গোলে এগিয়ে থেকে পুরো প্রথমার্ধই লিভারপুলকে রুখে দিয়েছিল স্পার্সরা। কিন্তু ৫২ মিনিটে আর শেষ রক্ষা হয়নি। ছয় গজ দুর থেকে হেন্ডারসনের হাফ-ভলিতে সমতায় ফিরে লিভারপুল। মিনিটখানেক আগে সংয়ের শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে না গেলে ব্যবধান হয়ত দ্বিগুন করতে পারতো টটেনহ্যাম।
এদিকে ইউনাইটেডের জন্য কালকের ম্যাচটি ছিল ঘরের বাইরে নিজেদের ফিরিয়ে আনার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। বিশেষ করে গত সপ্তাহে শীর্ষ দল লিভারপুলের সাথে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ১-১ গোলে ড্র করার পর দলের আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। যদিও গোঁড়ালির ইনজুরির কারনে দলে ছিলেন না ফর্মে থাকা ফ্রেঞ্চ তারকা পল পগবা। তারপরেও এই জয়ে আগামী সপ্তাহে চেলসি ও বোর্নমাউথ সফরের আগে অন্তত এ্যাওয়ে ম্যাচের জয়খরা কাটাতে সমর্থ হয়েছে ইউনাইটেড। এবারের মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিকে পরাজয়ের লজ্জা দিয়েছে নরউইচ। সেক্ষেত্রে ইউনাইটেডের এই জয় সুলশারকে স্বস্তি এনে দিতেই পারে।
এ সম্পর্কে সুলশার বলেছেন, ‘দীর্ঘ সময় পরে জয় আসলে শেষ পর্যন্ত তা হয়েছে। অবশ্যই পুরো কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের।’
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের সপ্তম স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড।
বাসস/নীহা/১৪৫০/স্বব