আজারবাইজান সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন আজ

528

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদ্য সমাপ্ত আজারবাইজান সফর সম্পর্কে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। ১৮তম ন্যাম সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি এ সফর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বাসসকে বলেন, ‘গণভবনে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ১২০টি উন্নয়নশীল দেশের ফোরাম নন-অ্যালাইনড মুভমেন্ট (ন্যাম) সম্মেলনের ১৮তম সম্মেলনে যোগ দিতে ২৪ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আজারবাইজান সফর করেন।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী এই ন্যাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যাম সম্মেলনে যোগ দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রের লাঞ্চন হলে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্রতিনিধিদলের প্রধানদের জন্য দেয়া ওয়ার্কিং লাঞ্চন-এ যোগ দেন।
পরে তিনি বাকু কংগ্রেস সেন্টারে সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত ও পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিশ্চিতে ‘বান্দুং নীতিমালা’ সমুন্নত রাখা বিষয়ে এক সাধারণ আলোচনায় বক্তৃতা করেন।
সন্ধ্যায় তিনি হায়দার আলিয়েভ সেন্টারে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের দেয়া সরকারি সংবর্ধনায় যোগ দেন।
২৬ অক্টোবর সকালে, শেখ হাসিনা বাকু কংগ্রেস সেন্টারের সাধারণ বিতর্কে অংশ নেন।
পরে, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী আজারবাইজানের শহীদদের স্মৃতির সম্মানে নির্মিত স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিনি হিলটন বাকুতে একই সঙ্গে আজারবাইজানের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেয়া নৈজভোজে অংশ নেন।
ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানী, মায়য়েশিয়ার প্রধামন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিইয়েভ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, আলজেরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আবদেলকাদের বেনসালাহ্ ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকীসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল হিলটন বাকুতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
তাঁর সফরকালে বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজারবাইজান প্রেসিডেন্ট ইলহাম এলিয়েভের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়।