শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৬ জন্মবার্ষিকী পালিত

224

ঢাকা, ২৫ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,বরিশাল বিভাগ সমিতি এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ.ম রেজাউল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সকালে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র এ কে ফাইয়াজুল হকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেরে বাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদ ও বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি মুহম্মদ আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
অন্যদিকে, বরিশাল বিভাগ সমিতি সকাল সাড়ে ৮টায় শেরে বাংলার মাজার প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।এতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ. এ. জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা। সভায় বক্তৃতা করেন,বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, প্রকৌশলী আবুল কাশেম, এনডিপি’র মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা,বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট শেরেবাংলার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। পরে, সংগঠনের গুলশান কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তৃতা করেন জোটের সহ সভাপতি কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, চিত্রনায়িকা রোজিনা, অরুনা বিশ^াস, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, চিত্রনায়ক শাকিল খান, চিত্রনায়িকা শাহনুর, কন্ঠশিল্পী এস. ডি. রুবেল প্রমুখ।
এ কে ফজলুল হক বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে মাতুলালয়ে ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন।কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ এবং সাইদুন্নেসা খাতুনের পুত্র শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন।
১৯৫৪ সালের ১৫ মে শেরে বাংলা আবুল কাশেম (এ. কে) ফজলুল হক পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।১৯৫৫ সালে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ লাভ করেন তিনি । ১৯৫৬ সালের ২৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করে। এরপরই তিনি তার ৪৬ বছরের বৈচিত্রময় রাজনৈতিক জীবন থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকায় এ কে ফজলুল হক ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।