বাসস ক্রীড়া-১ : সাউদাম্পটনকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লিস্টারের ইতিহাস

116

বাসস ক্রীড়া-১
ফুটবল-প্রিমিয়ার লিগ
সাউদাম্পটনকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লিস্টারের ইতিহাস
সাউদাম্পটন, ২৬ অক্টোবর ২০১৯ (বাসস) : ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বড় জয়ের ইতিহাস স্পর্শ করেছে লিস্টার সিটি। শুক্রবার সাউদাম্পটনের সেন্ট মেরি’স স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের জালে একে একে ৯টি গোল করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছে ২০১৫-১৬ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন দলটি।
আয়োজে পেরেজ ও জেমি ভার্দির হ্যাটট্রিকে সাউদাম্পটনকে ৯-০ গোলের হারের লজ্জা দেয় ব্রেন্ডন রজার্সের দল। ১৯৯৫ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইপসউইচকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এতদিন পর্যন্ত যা এককভাবে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে রেকর্ড ছিল। এখন তাতে ভাগ বসালো লিস্টার।
এই জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের থেকে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে লিস্টার। ১০ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট। অন্যদিকে নিউক্যাসেলের সাথে সমান পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে রেলিগেশন জোনে নেমে গেছে সেইন্টসরা।
ম্যাচ শেষে রজার্স বলেছেন, ‘মধ্য বিরতির সময় আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করেছিলাম ম্যাচের গতি ধরে রেখে তাদেরকে একটা শিক্ষা দিতে হবে। এটা আমাদের শিক্ষার একটি অংশ। এই দলের খেলোয়াড়রা বেশ প্রতিভাবান, তারা শিক্ষা আদায় করে নিতে জানে।’
১০ মিনিটে লিস্টারের হয়ে ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করেন বেন চিলওয়েল। দুই মিনিট পর আয়োজে পেরেজকে ফাউলের অপরাধে ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত হয়ে রায়ান বার্টান্ডকে লাল কার্ড দেখানো হলে সাউদাম্পটন ১০ জনের দলে পরিণত হয়। সুযোগটি দ্রুতই কাজে লাগিয়েছে সফরকারীরা। ১৭ ও ১৯ মিনিটে ইয়োরি টিয়েলেমানস ও পেরেজ পরপর দুই গোল করলে লিস্টার ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। বিরতির সাত মিনিট আগে পেরেজ আবারো আঘাত হানেন। চিলওয়েলের ক্রস থেকে তিনি দলের হয়ে চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ভার্দি গোল দিয়ে ১৯৮৪ সালের পর প্রথমবারের মত লিগে লিস্টারকে বিরতির আগে ৫-০ গোলের লিড উপহার দেন।
২০১০ সালের এপ্রিলে বার্নলির বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ৬-১ গোলের জয়ের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে কোন স্বাগতিক দলের বিপক্ষে প্রথমার্ধে কোন দল এত বড় ব্যবধানের লিড নিল।
যদিও এখানেই লিস্টারের গোলের আকাঙ্খা শেষ হযে যায়নি। ৫৭ মিনিটে হার্ভি বার্নসের অসাধালন লফটেড পাস থেকে পেরেজ তার হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চিলওয়েলের ক্রস থকে ভার্দির হেডে দলের সপ্তম গোল পূর্ণ হয়। ৮৫ মিনিটে নির্ভূল ফ্রি-কিকে জেমস ম্যাডিসন সাউদাম্পটনের অসহায় গোলরক্ষক এ্যাঙ্গাস গানকে পরাস্ত করেন। স্টপেজ টাইমে স্পট কিক থেকে ভার্দি হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি রেকর্ড বইয়ে লিস্টারের নাম উঠতে সাহায্য করেন। ইয়ান বেডনারেক ডি বক্সের ভিতর ভার্দিকে ফাউল করলে ইংলিশ রেফারি আন্দ্রে মেরিনার পেনাল্টির নির্দেশ দেন।
সাউদাম্পটনের ইংলিশ মিডফিল্ডার ন্যাথান রেডমন্ড স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘এই ধরনের পারফরমেন্স সত্যিই অস্বস্তিদায়ক। বিশেষ করে ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে এই পরাজয় মেনে নেয়া যায় না।’
বাসস/নীহা/১৬০৫/স্বব