বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : ন্যাম সম্মেলন শুরু, যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

150

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-ন্যাম সম্মেলনে-যোগদান
ন্যাম সম্মেলন শুরু, যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

সম্মেলনের শুরুতেই ২০১৬ সালে ভেনিজুয়েলায় অনুষ্ঠিত ১৭ তম ন্যাম সম্মেলনের পর থেকে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী ন্যাম নেতৃবৃন্দের সম্মানে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এবারকার ১৮ তম ন্যাম সম্মেলনের সাধারণ বিতর্কের বিষয়বস্তু হচ্ছে- সকলের সম্মিলিত এবং পর্যাপ্ত সাড়া প্রদানের মাধ্যমে বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে বাংডং নীতিমালা সমুন্নত করা।’
রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধান সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দলের প্রধানদের সম্মানে সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত ওয়ার্কিং লাঞ্চিয়ন এবং প্লানারী সেশনেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিকেলে হায়দার এলিয়েভ সেন্টারে অনুষ্ঠেয় আজারাইজানের প্রেসিডেন্ট আয়োজিত আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনাতেও তিনি যোগদান করবেন।
সম্মেলনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন বিকেলেই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথীর মোহাম্মদের সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করবেন।
ন্যাম বিশ্বের ১২০টি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি ফোরাম, যা বড় কোনো পাওয়ার ব্লকের সঙ্গে বা বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত নয়। জাতিসংঘের পর এটি বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রগুলোর বৃহত্তম গ্রুপিং। এতে ১৭টি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র এবং ১০টি পর্যবেক্ষণ সংস্থা রয়েছে।
এটি জাতিসংঘের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম সংগঠন, বর্তমান বিশ্বের প্রায় ৫৫ শতাংশ জনগণ এই ন্যামের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অধিবাসী।
এই দেশগুলোতে বিশ্বের তেলের ৭৫ শতাংশেরও বেশি মজুদ এবং ৫০ শতাংশেরও বেশি গ্যাস মজুদ রয়েছে, পাশাপাশি বৃহত্তম মানব ও প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে।
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও সাবেক যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসিপ ব্রোজ টিটোর উদ্যোগে ১৯৫৫ সালে বাংডং সম্মেলনে সম্মত নীতিমালা প্রণয়নের পর ১৯৬১ সালে যুগোস্লাভিয়া বেলগ্রেড ন্যাম প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভেনেজুয়েলার মারগারিটা দ্বীপে ২০১৬ সালে ১৭তম ন্যাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার পতন এবং আফ্রিকা, এশিয়া, লাতিন আমেরিকা সহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরাশক্তির মধ্যকার ¯œায়ু যুদ্ধ চলাকালিন ন্যাম প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এর ক্রিয়াগুলি ডিক্লোনাইজেশন প্রক্রিয়ার মূল কারণ ছিল, যা পরে অনেক দেশ এবং জনগণের দ্বারা স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা অর্জন এবং বহু নতুন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে পরিচালিত করে।
ঐতিহাসিকভাবেই ন্যাম বিশ্বশান্তি এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনটি প্রধান করণীয়কে কেন্দ্র করে ন্যাম’র চেয়ারম্যানশিপ গঠিত হবে, যার মধ্যে
আন্দোলনের কার্যকারিতা বাড়ানো এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে সংগঠনের সুনাম বৃদ্ধির বিষয়টি রয়েছে। এছাড়া, বাংডং নীতি সমুন্নতকরণ এবং আন্দোলকারীদের মধ্যে সংহতি জোরদারকরণের বিষয়টি রয়েছে।
বাসস/এসএইচ/অনু-এফএন/১৭১৭/-আসাচৌ