বাসস ক্রীড়া-৬ : দেশের মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে মিশন শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া

153

বাসস ক্রীড়া-৬
ক্রিকেট-অস্ট্রেলিয়া
দেশের মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে মিশন শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া
মেলবোর্ন, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ (বাসস) : আগামী বছর দেশের মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ঐ আসরকে সামনে রেখে এই মৌসুম থেকেই নিজের মিশন শুরু করতে যাচ্ছে অসিরা। আগামী সপ্তাহ থেকে শ্রীলংকা ও এর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশের মাটিতে তিন ম্যাচের দু’টি টি-২০ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ঐ দু’টি সিরিজকেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে অসিরা।
আগামী রোববার অ্যাডিলেডে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন লংকানদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার পরের দু’টি ম্যাচ ৩০ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর। দু’টি ম্যাচের ভেন্যু- ব্রিসবেন ও মেলবোর্ন।
শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ শেষে ২০০৯ টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। সিডনিতে ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সিরিজ। ৫ নভেম্বর ক্যানবেরাতে ও ৮ নভেম্বর পার্থে হবে সিরিজের শেষ দু’টি টি-২০।
এই সিরিজ দু’টি অস্ট্রেলিয়ার জন্য আগামী টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ। পাশাপাশি দল নিয়ে এই দু’টি সিরিজে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে অসিদের।
রোববার থেকে অ্যাডিলেডে শুরু হওয়া সিরিজে নতুনদের সাথে ভালো পারফরমেন্স করার ব্যাপারে আশাবাদি পেসার কেন রিচার্ডসন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, ওয়ানডে বিশ্বকাপের মত বছরে অনেকগুলো টি-২০ ম্যাচ হবে। যখন আরও একটি বিশ্বকাপ আরও কাছে। তবে আমি নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি।’
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে টি-২০ অভিষেক ঘটে রিচার্ডসনের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে মাত্র ৯টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দলে নিজের অবস্থান শক্ত করতে পেস অ্যাটাকে মিচেল স্টার্ক-প্যাট কামিন্স-বিলি স্টানলেক ও এন্ড্রু টাই’র সাথে লড়াই করতে হবে রির্চাডসসনকে।
শ্রীলংকা বিপক্ষে সিরিজটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলের দুই সেরা তারকা স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের জন্য। কারন বল বিকৃতির জন্য নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিন ফরম্যাটেই ফিরতে যাচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যে ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন স্মিথ-ওয়ার্নার।
অ্যাশেজ সিরিজে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন স্মিথ। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর টি-২০তে ফিরতে যাচ্ছেন তিনি। আর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির পর প্রথম টি-২০ ম্যাচ খেলবেন ওয়ার্নার।
দীর্ঘদিন পর টি-২০ ফরম্যাটে ফিরলেও, নিজের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী স্মিথ। তিনি বলেন, ‘আশা করি, এই ফরম্যাটের সাথেও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবো এবং আগামী কয়েক সপ্তাহ অস্ট্রেলিয়ার দলের সাথে ভালো সময় কাটবে।’
অ্যাশেজে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ওয়ার্নার। ড্র হওয়া সিরিজে ওয়ার্নারের ব্যাটিং গড় ছিলো- ৯ দশমিক ৫০। তাই আসন্ন দু’টি টি-২০ সিরিজে ওয়ার্নারের জন্য বড় পরীক্ষাই বটে।
তবে টি-২০তে ভালো করার সুযোগ রয়েছে ওয়ার্নারের। কারন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ও ইংল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ভালো করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে ১০ ইনিংসে ৬৪৭ রান করেছিলেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তুলতে বড় অবদান রেখেছিলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।
আসন্ন টি-২০ সিরিজে ভালো পারফরমেন্স করে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাসী হবার সুযোগ পাচ্ছেন ওয়ার্নার। টি-২০ শেষেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তবে টি-২০ সিরিজের আগে চাপে আছেন বলে স্বীকার করে ওয়ার্নার বলেন , ‘অবশ্যই, এই প্রথমবারের মত ক্যারিয়ারে চাপের মুখে রয়েছি। আমি রানের মধ্যে নেই। আমি তিন ফরম্যাটেই খেলি এবং আমি যা করবো আমাকে সেরাটাই করতে হবে।’
বাসস/এএমটি/১৭৪৫/স্বব