ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমার প্রত্যাশা পরিকল্পনামন্ত্রীর

242

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজ আশা প্রকাশ করেছেন যে, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০সহ সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে আগামী বছরগুলোতে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য আরও কমে আসবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০কে সামগ্রিক জাতীয় মেগা প্ল্যান হিসেবেই বাস্তবায়ন করব। অর্থনীতির অন্যান্য দিকগুলোর মতো এই চর্চার (ডেল্টা প্ল্যান ও অন্যান্য প্ল্যান) মাধ্যমে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনার মতো এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হব বলে আমরা আশাবাদী।’
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকার এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নের বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) আয়োজিত জিইডির সদস্য ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তিনি এই পরিকল্পনার বিষয়ে পাওয়ার-পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, সচিবগণ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।
‘ক্রমবর্ধমান বৈষম্য’ নিয়ে অনেকের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, এই চর্চা (ডেল্টা প্ল্যান ও অন্যান্য প্ল্যান) থেকে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধানের বৈষম্যের বিষয়টি অনেকাংশে সমাধান করা হবে।’
এই ডেল্টা প্ল্যান-২১০০কে দেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটে আমূল পরিবর্তনকারী হিসেবে অভিহিত করে মান্নান বলেন, এই ১০০ বছরের পরিকল্পনাটি একটি ছাতার মতো কাজ করবে। কারণ, এটি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং বছর প্রতি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বাস্তবায়িত হবে।
ডেল্টা প্লান ও এর প্রয়োজনীয় সংস্থানসমূহ বাস্তবায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা এই পরিকল্পনা স্বাবলম্বী হয়ে বাস্তবায়ন করতে চাই। তবে, যদি কেউ স্বেচ্ছায় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অংশ নিতে চায় আমরা তাদেরকে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে স্বাগত জানাবো।’
সরকার বাংলাদেশের মত ব-দ্বীপ রাষ্ট্রের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এই দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকল উন্নয়ন সহযোগী ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডেল্টা পরিকল্পনা বাংলাদেশের জন্য একটি গাইডিং নীতি এবং বিশ্বের ব-দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো এবিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে।
জিইডি সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ একটি গতিশীল পরিকল্পনা এবং প্রতি ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এর আপডেট করা হবে।
এই পরিকল্পনায় আরো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আগামী বছরগুলোতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, তার মন্ত্রণালয় ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ এর আওতায় দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে।