বাসস দেশ-৩ : পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে : শ ম রেজাউল করিম

124

বাসস দেশ-৩
পরিবেশ-সুরক্ষা
পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে : শ ম রেজাউল করিম
ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শুধু নগর উন্নয়ন নয়, বরং নগরের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রামে নিয়ে যেতেও বদ্ধপরিকর। নগরজীবনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হলে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই।’
তিনি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্যরে বহুমাত্রিক ব্যবহারে কাজ করার জন্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
আইডিইবি সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। সেমিনারে বিষয়ের আলোকে কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মতিন ও আইডিইবি’র রিসার্চ ফেলো ড. মো. সুলতানুল আলম।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যমান এ উন্নয়নের সুফল টেকসই ও জনবান্ধব করার জন্য নাগরিকদের নৈতিকতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি অনিয়ম যেন চলমান উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় না হয়, সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি গ্রহণ করে দেশব্যাপী শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এ অভিযানের সুফল নিশ্চিত করার জন্য দেশপ্রেমের তাগাদা থেকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের আত্মকেন্দ্রিকতার চিন্তা চেতনা বাদ দিয়ে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উন্নয়নের সহযোদ্ধা আখ্যায়িত করে প্রশাসনিক গন্ডির মধ্য থেকে দেশের টেকসই উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
কীনোট পেপারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও টেকসই উন্নয়নে ৫টি সুপারিশ প্রদান করা হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সামাজিক জ্বালানি নিরাপত্তায় প্রতিটি গ্রামে বর্জ্যরে মাধ্যমে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট নির্মাণে উৎসাহ প্রদান, ভূমির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বর্জ্যরে মাধ্যমে জৈব সার উৎপাদন ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরবরাহ ও গ্রামীণ আবাসনে গ্রিন বিল্ডিং তৈরি করা।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৪১০/-শআ