বাজিস-২ : পায়রার ভাঙ্গন রোধে পাউবো’র উদ্যোগ

127

বাজিস-২
বরগুনা-পায়রার ভাঙ্গন
পায়রার ভাঙ্গন রোধে পাউবো’র উদ্যোগ
বরগুনা, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙন রোধে উদ্যোগ নিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য একটি তালিকা ইতিমধ্যেই প্রধান অফিসে পাঠানো হয়েছে।
গত দেড় দশকের মধ্যে নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে লক্ষাধিক একর জমি, সরকারী স্থাপনা ও ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফসলি জমি, ঘর-বাড়ি হারিয়ে পথে বসেছে কয়েক হাজার পরিবার। নদীর ভাঙ্গনে আয়তনে ছোট হয়ে যাচ্ছে আমতলী ও তালতলী উপজেলা।
প্রমত্তা পায়রার পোষাকি নাম বুড়িশ্বর নদ। আর স্থানীয়ভাবে পায়রা নদী। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার অভ্যন্তরের একটি বিশালাকায় নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ছিল ১২০০ মিটার। । নদী ভেঙ্গে পূর্বের চেয়ে প্রস্থ তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রস্থ ভেঙ্গে হয়েছে ৩৫০০ মিটার। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে পায়রা নদী উত্তাল হয়ে ভয়াল রুপ ধারণ করে। প্রচন্ড ঠেউ ও জোয়ার-ভাটার তীব্র ¯্রােতে নদী ভেঙ্গে আকারে বড় হচ্ছে।
গত ২০ বছরে নদীর পাড়ের কয়েক লাখ একর ফসলি জমি ও হাজার হাজার পরিবারের ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভিটা মাটি হারিয়ে নিস্ব হয়ে পথে বসেছে প্রায় লক্ষ মানুষ। ১৯৬৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড পায়রা নদীর সোবল থেকে মানুষ রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে। ২০০৭ সালে ঘুর্ণিঝড় সিডরে ওই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে পায়রা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমতলী ও তালতলীর ৩০ কিলোমিটার পায়রা নদীর চাওড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঘটখালী, পৌর শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড, লোচা, আড়পাঙ্গাশিয়ার পশুরবুনিয়া, বালিয়াতলী, পচাঁকোড়ালিয়া স্লুইজ, মৌপাড়া, গাবতলী, নকড়ি, তেতুঁলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গা এলাকায় পায়রা নদীতে ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। ওই সকল এলাকায় বসবাসরত মানুষ ভিটে মাটি ছেড়ে অনাত্র অবস্থান নিয়েছে। প্রতিদিনই ওই সকল স্থান দিয়ে ঠেউ ও প্রবল ¯্রােতের চাপে নদীর পাড় ভাঙ্গছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান সুজন জানান, পায়রার ভাঙ্গন রোধে পশ্চিম ঘটখালী, আমতলী পৌরসভা, পশুরবুনিয়া, বালিয়াতলী, মৌপাড়া, জলায়ভাঙ্গা ও তেতুঁলবাড়িয়ার প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ, চতুর্থ স্তরের তালিকা করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান অফিসে পাঠিয়েছি।
বাসস/সংবাদদাতা/১০-৫৪/নূসী