শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে : মোস্তাফা জব্বার

678

ঢাকা ১৮ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শিশুদের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ না করে বরং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে অভিভাবদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রাজধানীর জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের উদ্যোগে বৃহত্তর ময়মনসিংহ আন্তঃজেলা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৯ এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তির অভাবনীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য মেধা ও সৃজনশীলতার পরিচর্যা করা অপরিহার্য। আগামী দিনের দুনিয়ায় মেধা ও সৃজনশীলতার চেয়ে বড় আর কোন সম্পদ হতে পারে না। শিশুদের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ নয় বরং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে অভিভাবকের সচেতন থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ইন্টারনেট হচ্ছে জ্ঞান ভান্ডার। আমাদের সন্তানদের মেধা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় শক্তি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের প্রজন্মের দিন যেভাবে কেটেছে, আগামী দিন জীবন এই জায়গায় থাকবে না, মেধা নিয়ে এগুতে হবে। আর এই মেধার চর্চা শৈশব থেকেই শুরু করতে হবে। তিনি মেধা ও সৃজনশীলতার ওপর পরিচর্যার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, যথাযথ পরিচর্যা করতে পারলে আজকের এই প্রজন্মের সন্তানরা বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবেই। তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে, তাদের নিরাপদ রাখতে হবে, তাদের প্রতি যতœবান হতে হবে।
মন্ত্রী বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শিল্প- সংস্কৃতি চর্চায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের গৌরবদীপ্ত ভূমিক বর্ণনা করে বলেন, সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ভিত বিনির্মাণে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় অবস্থিত এই অঞ্চলের মানুষের ঐতিহাসিক অবদান জাতির ইতিহাসের পাতায় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে ভাটি অঞ্চল সমৃদ্ধ প্রাচীন এই জনপদে মসনদে আসা ঈসা খাঁর সংগ্রামী জীবনালেখ্য, দ্বীজবংশী দাস, চন্দ্রাবতি ও মনসুর বয়াতি প্রমূখের রচনা ভান্ডার, মৈমনসিংহ গীতিকার আন্তর্জাতিক বিস্তৃতি এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভূমিকা জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের এক ইতিবৃত্ত বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম, ব্রহ্মপুত্র -যমুনা অববাহিকার বিশাল লোক ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির উত্তরাধিকার ও ভবিষ্যতের বাহন।
মন্ত্রী বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নবীন প্রতিভা অন্বেষণে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, নেত্রকোণা, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার শিশু- কিশোররা জাতীয় পর্যায়ে নতুন প্রতিভা হিসেবে বিকশিত হবে।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের নির্বাহী সভাপতি, নৌ-পরিবহন সচিব মো: আব্দুস সালাম এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।