ডিটিএইচ ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে পরিবেশকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

286

ঢাকা, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাসাবাড়িতে অবৈধভাবে বসানো ডাইরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) ডিভাইস আগামী দুই মাসের মধ্যে সরিয়ে ফেলার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেছেন, অন্যথায় ১৫ ডিসেম্বরের পরে অপারেটরদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।তিনি বলেন, ‘সরকারি অনুমোদন না থাকায় ডিটিএইচ ব্যবহার সম্পূর্ণ অবৈধ।’
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টেলিভিশন ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল সিস্টেমের অধীনে আনার লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাসাবাড়িতে স্যাটেলাইট প্রোগ্রাম দেখার জন্য বিদেশ থেকে ডিটিএইচ অবৈধভাবে আমদানি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা সরবরাহ করা হয়। এজন্য পরিবেশকরা অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাঠায়, যা সম্পূর্ণভাবে বেআইনী।
তিনি বলেন, ১৫ ডিসেম্বর সরকার নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ডিটিএইচ সরিয়ে ফেলায় যারা অবহেলা করবে সেই অসৎ পরিবেশকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্প্রচার মিডিয়া ডিজিটালাইজেশন বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, এই সেক্টরের ডিজিটালাইজেশনের পর দেশের মিডিয়া এবং এই খাতের কর্মীদের স্বার্থ নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ইলেকট্রনিক মিডিয়া সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যদি কোন অনিয়ম হয় তাহলে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশী চ্যানেলগুলোতে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বন্ধ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘পাশাপাশি, ক্যাবল অপারেটররা সম্প্রচারের সময় অনুযায়ী বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছে। এভাবে তারা বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলগুলোর পর বিদেশী চ্যানেলগুলোকে রাখছে।’
মন্ত্রী বলেন, কোন কোন টেলিভিশন চ্যানেল বিদেশি টিভি সিরিয়াল বাংলায় ডাবিং করে সম্প্রচার করছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই, মন্ত্রণালয় ডাবিংকৃত বিদেশী সিরিয়াল সম্প্রচারের জন্য টিভি চ্যালেনগুলোকে সরকারের অনুমোদন নিতে নির্দেশ জারি করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়টি তদারকি করার জন্য শিগগিরই একটি প্রিভিউ কমিটিও গঠন করা হবে।
হাছান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমে উন্নয়নে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
তিনি বলেন, অনেক কোম্পানি বিশেষ করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো বিদেশী দ্বিতীয় গ্রেডের মডেল দিয়ে অ্যাড তৈরি করছে।
তথ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে আরো বলেন, ‘কিন্তু আমাদের দেশেই বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক মানের মডেল রয়েছেন। তাই, সরকার বিজ্ঞাপন নির্মাণে বিদেশী মডেল ও কলাকুশলীকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে।’
ও কলাকুশলীকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে।’
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের জনসভার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান বলেন, তারা নিজ রাজনৈতিক স্বার্থে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান আরো বলেন, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ায় সন্তুষ্ট হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন ঐক্য ফ্রন্ট যে কোন উপায়ে তাদের ঐক্য ধরে রাখতে চাইছে। এ জন্যই তারা আবরার ইস্যুতে জনসভা করতে যাচ্ছে। বস্তুত, তারা এই মর্মান্তিক ঘটনাকে তাদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছেন। এখানে তারা আবরারের জন্য কিছু করছেন না।
এ সময় তথ্য সচিব আব্দুল মালেক ও অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম উপস্থিত ছিলেন।