কবি আবুল হোসেনের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী কাল

233

ঢাকা, ২৮ জুন, ২০১৮ (বাসস) : বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি আবুল হোসেনের চতুর্থ মৃত্যুবার্র্ষিকী আগামীকাল ২৯ জুন।
এ উপলক্ষে কবির ধানমন্ডির বাসভবনে আগামীকাল বাদ আছর মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে বলে কবির পরিবারের পক্ষ থেকে বাসসকে জানানো হয়।
তিনি ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট খুলনার তৎকালীন বাগেরহাট মহকুমার ফকিরহাট থানার আড়–য়াডাঙা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা এস. এম. ইসমাইল হোসেন পুলিশ বিভাগে কাজ করতেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর হাতে তিনি নিহত হন। কবি অধ্যয়ন করেছেন কৃঞ্চনগর কলেজিয়েট স্কুলে, কুষ্টিয়া হাই স্কুলে, কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কবি আবুল হোসেনের প্রথম কবিতার বই ‘নব বসন্ত’ প্রকাশিত হয় ১৯৪০ সালে। আধুনিক মুসলমান বাঙালী কবিদের মধ্যে তাঁর কবিতার বই প্রথম প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য কব্যাগ্রন্থ হচ্ছে, ‘বিরস সংলাপ’, হাওয়া তোমার কি দুঃসাহস, দুঃস্বপ্ন থেকে দুঃস্বপ্নে, এখনও সময় আছে, আর কিসের অপেক্ষা, রাজকাহিনী , ‘আবুল হোসেনর ব্যঙ্গ কবিতা’, গদ্যের বই ‘দুঃস্বপ্নের কাল’, সালে ‘প্রেমের কবিতা’, ‘কালের খাতায়’, ‘স্বপ্ন ভঙ্গের পালা’। অনুদিত কবিতার বই ‘ইকবালের কবিতা’, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘অন্য ক্ষেতের ফসল’ ও ‘অরণ্যের ডাক’।
কবি আবুল হোসেন বিভিন্ন সগংঠনের সাথে কাজ করেন। রবীন্দ্র পরিষদ, প্রেসিডেন্সি কলেজ , রবীন্দ্র পরিষদ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ,বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি, বেঙ্গলি ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি,পাকিস্তান রাইটার্স গিল্ড ও রবীন্দ্র-চর্চা কেন্দ্র ’এর সাথে যুক্ত ছিলেন।
সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য কবি আবুল হোসেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পুরস্কার, নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক, পদাবলী পুরস্কার, কাজী মাহবুবুল্লাহ পুরস্কার , আবুল হাসানাত সাহিত্য পুরস্কার, জনবার্তা স্বর্ণপদক, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, জনকন্ঠ গুণীজন সম্মাননা ও জাতীয় জাদুঘর সংবর্ধনায় ভূষিত হন।
২০১৪ সালের এই দিনে ৯২ বছর বয়সে কবি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।