বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : আবরার হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

237

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-আবরার পরিবার
আবরার হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

শেখ হাসিনা আবরারের মা-বাবাকে বলেন, ‘আপনারা যা হারিয়েছেন তার জন্য সান্ত¦না দেয়ার ভাষা আমার নেই।’
তিনি বলেন, ‘দয়া করে আমার দিকে তাকান, আমি এক রাতে সবকিছু হারিয়েছি। আমি আপনজন হারানোর যন্ত্রণা বুঝি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবরারের হত্যাকারীরা মানুষ নয়। ‘যার সাথে তারা বসে পড়ালেখা করছে তাকে তারা কিভাবে হত্যা করতে পারে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ঘটনার পরে পুলিশকে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয়া হয়। ‘কিন্তু বুয়েটের কিছু ছাত্র কেন ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করলো তা আমার বোধগম্য নয়।’
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, গণভবনের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হওয়ার পর আবরারের মা তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে পরম মমতায় বেশ কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখেন এবং তাঁর জন্য নির্ধারিত চেয়ারের পরিবর্তে আবরারের মা’র পাশেই বসে পড়েন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ৭ অক্টোবর ভোর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলে পিটিয়ে মারা হয়।
ওইদিন রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলে নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার মধ্যবর্তী স্থান থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
আবরারের বাবা বরকত উল্লা এ ঘটনায় চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এইচএন/২০৩০/মমআ/-অমি