কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও জাত উদ্ভাবন করে মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে হবে : কৃষিমন্ত্রী

212

ঢাকা, ১৩ অক্টোবর ২০১৯ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও জাত উদ্ভাবন করে মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে হবে।
আজ রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের(বিএডিসি) ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়ে বলেছিলেন,‘ আমার মান রাখিস।’ কৃষিবিদরা তার মান রেখেছেন, তারা প্রধানমন্ত্রীরও মান রাখবে। তাহলেই এসডিজি’র লক্ষ্য মাত্রা ২০৩০ সালের আগেই অর্জন করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, চাষা বলে এক সময় অভিজাত শ্রেণীর লোকেরা কৃষকদেরকে ভর্ৎসনা করতো। কালের বিবর্তনে আজ অভিজাত শ্রেণীর শিক্ষিত লোকেরা গর্বকরে কৃষিকাজে নিজের সম্পৃক্ততার কথা বলেন। কিন্তু বর্তমানে কৃষি শ্রমিকরা যে পারিশ্রমিক পায় তা দিয়ে তাদের জীবন চলা দায়। কৃষির আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণই কৃষকদের আশার আলো দেখাবে। সেই সাথে কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানী করতে হবে। অপ্রচলিত অধিক মূল্যের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
এর আগে তিনি বেলুন উড়িয়ে দিবসের শুভ সুচনা করেন এবং দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। পরে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর‌্যাল উন্মোচন করেন এবং ইলেকট্রনিক গেট ও ভবনের দশম তলায় বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সরকার গণতন্ত্রের মুখোশ পরে দেশ ও জনগণকে শোষণ করেছে। এদেশের কৃষকরা সারের জন্য জীবন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের ঘরে ঘরে সার পৌছে দিয়েছেন, সার নিয়ে কৃষকদের মধ্যে কোনো উৎকন্ঠা নেই, সারের মূল্য কমিয়ে কৃষকদের হাতের নাগালে রেখেছেন। এছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি,বীজসহ বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা প্রদানের ফলে দেশের কৃষির সাফল্য বিশ্ব স্বীকৃত। সরকারের লক্ষ্য ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, তা হয়েছে। এমডিজি’র গোল অর্জিত হয়েছে,এখন এসডিজি’র গোল অর্জন করতে হবে। দেশ ইতোমধ্যে ক্ষুধা মুক্ত হয়েছে। পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা এখন চ্যালেঞ্জ। এটাও ২০৩০ সালের আগেই অর্জিত হবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. রাজ্জাক বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। তাই সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। বিএডিসিকেও জবাব দিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সম্মান বৃদ্ধির জন্য সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।
বিএডিসি’র চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কৃষি সচিব ড.এস এম নাজমুল ইসলাম, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ও সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান।