বাসস দেশ-৫ : দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি করার নজির স্থাপন সরকারের বড় সাফল্য : আইনমন্ত্রী

177

বাসস দেশ-৫
শিশু সংলাপ-আইনমন্ত্রী
দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি করার নজির স্থাপন সরকারের বড় সাফল্য : আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস): আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সিলেটের শিশু রাজন ও খুলনার শিশু রাকিব হত্যার বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ করে সরকার বিচার ব্যবস্থায় নজির স্থাপন করেছেন।
“আজকের শিশু আনবে আলো, বিশ্বটাকে রাখবে ভালো’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে শিশু অধিকার সপ্তাহ ও শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিশু সংলাপ ২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রোববার এ কথা বলেন।
জাতীয় শিশু একাডেমীতের অনুষ্ঠিত এ সংলাপে তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শিশু প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন- সেফ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বিশেষ অতিথির হিসেবে বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের লক্ষ্য হলো অপরাধীকে শাস্তি দেয়া। সব ধরণের আইনি সুযোগ দিয়ে দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি ও বিচার শেষ করার নজির শেখ হাসিনার সরকার স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, বুয়েটের আববার হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনী ব্যবস্থায় কোন ক্ষমা নেই। বিদ্যমান আইনেই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে। ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান হত্যা মামলায়ও দ্রুত সময়ে শেষ হতে যাচ্ছে। মামলা সাক্ষ্য-যুক্তিতর্ক শেষে এখন রায়ের জন্য ধার্য রয়েছে।
র‌্যাগিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি অপরাধ। র‌্যাগিং এর শিকার হলে শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকের কাছে নালিশ করার পরামর্শ দেন তিনি ।
প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ওই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মৃত্যুদ- প্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফেরত আনার ক্ষেত্রে মৃত্যুদ-ের রায় অসুবিধার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এ আসামী আত্মস্বীকৃত খুনী। এ আসামী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন-নেছা মুজিব, শিশু রাসেলসহ ১৮ জনকে গুলি করে হত্যার সঙ্গে জড়িত। আদালত তাকে মৃত্যুদ- দিয়েছে। এখানে তার একমাত্র শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদ-। এ আসামী যড়যন্ত্র ও হত্যায় জড়িত। আমরা তাদের বলেছি। এখানে দন্ড মওকুফে আমাদের কোন সুযোগ নেই। মৃত্যুদন্ডই এখানে একমাত্র সাজা।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, অপরাধীকে সাজা দেয়া হচ্ছে আইনের কাজ। এটা সমাজেরও চাহিদা। যদি কোনো অপরাধে মৃত্যুদন্ড কাউকে দেয়া হয় এবং সে আসামী বিদেশে পলায়ন করলে অনেক ক্ষেত্রে তাকে দেশে ফিরে আনা যায় না। সে জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুদ-ের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজার বিধান রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রেও আসামী মনে করবে অপরাধ করলে আমাকে যাবজ্জীবন জেলে থাকতে হবে এটাও বড় শাস্তি।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৫৩২/-কেএআর