বাজিস-১ : কাপ্তাইয়ে ভারি বর্ষণে সড়কে ভাঙ্গন : পাহাড় ধসের আশংকা

151

বাজিস-১
কাপ্তাইয়ে ভারি বর্ষণে সড়কে ভাঙ্গন : পাহাড় ধসের আশংকা
রাঙ্গামাটি, ২৮ জুন ২০১৮ (বাসস) : কাপ্তাই উপজেলাসহ জেলার সর্বত্র গত কয়েকদিন ধরে টানা ভারি বর্ষণ হচ্ছে। বৃষ্টির সাথে কখনো কখনো হালকা থেকে মাঝারি দমকা বাতাসও বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই ও এর আশপাশের উপজেলায় সড়কে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে পাহাড় ধস আশঙ্কা জনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার চন্দ্রঘোনা, রাইখালী, চিৎমরম, কাপ্তাই এবং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের সর্বত্র কমবেশি পাহাড় ধস দেখা গেছে। ধস ঠেকানোর জন্য পুরো পাহাড় দামী ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, উপজেলার প্রায় ২৭টি স্থানে ত্রিপল দিয়ে পাহাড় ঢেকে রাখা হয়েছে। অনেক স্থানে মোটা দামি ত্রিপল দিয়ে পুরো পাহাড় ঢেকে রাখা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও কমদামী কালো পলিথিন পেপার দিয়ে পাহাড় ঢেকে রাখা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির সাথে দমকা বাতাসে ত্রিপল ও পলিথিন ঠিক জায়গায় রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। বাতাসে পলিথিন ও ত্রিপল উড়ে যাচ্ছে। তবে অনেককে দেখা গেছে ত্রিপল ও পলিথিন যাতে বৃষ্টি ও বাতাসে উড়তে না পারে সে জন্য ইট ও বালুর বস্তা দিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু এতেও সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা।
গতবছর প্রবল বৃষ্টি আর পাহাড় ধসের কারণে কাপ্তাইয়ে ২২ জন মারা গেছে। এবছর এখন পর্যন্ত পাহাড় ধসে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তারপরও ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানি এড়াতে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ইতোমধ্যে ৫০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধস বৃদ্ধি পায়। বৃষ্টির ফলে পাহাড় ধসে যাতে কোন প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে সে জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি ঝুঁকিতে থাকা পরিবারদের নিজ উদ্যোগে নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্যও তিনি আহবান জানান।
বাসস/সংবাদদাতা/১১১৮/গিউ/-নূসী