মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ শিকারের দায়ে ২৫ জেলের দন্ড

217

ভোলা, ১২ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ২৫ জেলেকে দন্ড প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৩ জন, তজুমোদ্দিনে ৯জন, চরফ্যাসনে ৫জন ও মনপুরায় ৮জন জেলে রয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় একটি ফিসিং ট্রলার, ১ হাজার কেজি মা ইলিশ ও ২০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া আজ সকালে সদর উপজেলা থেকে ৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম সকালে বাসস’কে জানান, মেঘনার মনপুরা উপজেলার দন্ডপ্রাপ্ত ৮ জেলের মধ্যে ৭ জনকে ১ বছর করে কারাদন্ড ও ১ জনকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদ। চরফ্যাসনে ৫ জেলেকে ১ বছর করে জেল দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম।
আজহারুল ইসলাম জানান, তজুমোদ্দিনে ৮জনকে ১ বছর করে কারাদন্ড ও ১ জনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম। এছাড়া সদরে ১০ জেলে আটক করা হলেও ৭ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় এবং ৩জনকে ১ বছর করে দন্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন।
তিনি আরো বলেন, আজ ভোর রাতের দিকে সদরের মেঘনা নদী থেকে ৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তোলা হবে। এছাড়া জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ও মাছ দুস্থদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান চলমান আছে। আইনভঙ্গকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২দিন মা ইলিশকে নির্বিঘেœ ডিম ছাড়ার জন্য ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ অনুযায়ী এ সময়ে ইলিশ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয় অপরাধ।