সেনেগাল-কলম্বিয়ার ম্যাচে জয় ভিন্ন কিছুই ভাবছে না কোন দল

323

ঢাকা, ২৮ জুন, ২০১৮ (বাসস) : গ্রুপ-এইচ’র শেষ ম্যাচে আজ মুখোমুখি হচ্ছে টেবিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা সেনেগাল ও কলম্বিয়া। শীর্ষ দল হিসেবে এখনো জাপান থাকলেও এই তিন দলের কেউই এখনো নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেনি। সে কারনেই আজকের ম্যাচে জয়ের মাধ্যমেই পরের রাউন্ডে উঠতে চায় সেনেগাল ও কলম্বিয়া।
চার বছর আগের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট দলটি প্রথম ম্যাচে এশিয়ান জায়ান্ট জাপানের বিপক্ষে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে হতাশ করেছে। ম্যাচটিতে তিন মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান কার্লোস সানচেজ। পোল্যান্ডের বিপক্ষে গত রোববার কাজানে ৩-০ গোলের দারুন এক জয় দিয়ে আবারো তারা লড়াইয়ে ফিরেছে। বর্তমানে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা গ্রুপ টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এক পয়েন্ট এগিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান ও সেনেগাল। প্রথম ম্যাচে সেনেগাল পোল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারানোর পরে দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানের সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছে।
এ কারনেই আজকের ম্যাচে অন্তত ড্র করতে পারলেই সেনেগালের শেষ ১৬ নিশ্চিত হবে। অন্যদিকে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের শঙ্কায় না পড়তে হলে হোসে পেকারম্যানের দলের জয় ভিন্ন বিকল্প নেই।
আর এক্ষেত্রে কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিনার মতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে দারুন জয়ের রেশ ধরে রাখতে হলে কালকের ম্যাচেও জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। আর্সেনালের এই গোলরক্ষক বলেন, এখনো আমরা গ্রুপে তৃতীয় স্থানে রয়েছি। জয়ী হতে না পারলে ফিরতি টিকিট কাটতে হবে। এজন্য সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচটিতেই আমাদের সব গুরুত্ব। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা বিশ^কাপে ফিরেছি। এখন এই জয়ের সুযোগটা আমরা নষ্ট করতে চাইনা।
পোলিশদের বিরুদ্ধে এবারের বিশ^কাপে প্রথম গোল পেয়েছেন কলম্বিয়ান অধিনায়ক রাদামেল ফ্যালকাও। দারুন এই জয়ে ফ্যালকাওয়ের এই গোলে দারুন উচ্ছসিত ওসপিনা বলেছেন, ‘সে আমাদের জন্য অসাধারণ একজন স্ট্রাইকার। আমি মনে করি সে আবারো প্রমান করেছে এখনো সে ফুরিয়ে যায়নি। সে আমার বন্ধু, অবশ্যই আমি তার জন্য দারুন খুশী। দলের মূল ফরোয়ার্ড হিসেবে গোল করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন তার উপর আর ততটা চাপ নেই।
২০০২ সালের বিশ^কাপে শেষ আটে পৌঁছানো সেনেগাল দলের অধিনয়াক আলিও সিসে বর্তমান দলটিতে কোচের দায়িত্বে আছেন। জাপানের বিপক্ষে দুইবার এগিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ড্র হওয়ায় তিনি মোটেই খুশী নন। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, আমরা সত্যিই দারুন কষ্ট করছি, পরের রাউন্ডে যেতে হলে আমাদের এক পয়েন্ট যথেষ্ঠ। সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে এগিয়ে যাওয়াটা এই প্রজন্মের প্রাপ্য। তবে এজন্য আমাদের আরো উন্নতি করতে হবে। বল নিয়ে আরো বেশী আগ্রাসী হতে হবে।
তোরিনো স্ট্রাইকার এম’বায়ে নিয়াং ২০১৭-১৮ মৌসুমে সিরি-আ’তে ২৬ ম্যাচে মাত্র চার গোল করলেও সেনেগালের হয়ে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল তুলে নিয়েছেন। জাপানের বিপক্ষে মোসু ওয়াগুয়ের গোলে তিনি এসিস্টও করেছেন। সে কারনেই কলম্বিয়া যদি শুধুমাত্র সাদিও মানেকে আটকানোর কৌশল আঁটে তবে তা বোকামি হবে। অন্যদিকে প্রিমিয়ার লীগে ম্যান ইউ ও চেলসির হয়ে হতাশাজনক অধ্যায় কাটিয়ে ফ্যালকাও তার দেশের হয়ে আবারো সেরা ফর্মে ফিরেছেন। তার দিকে সে কারনেই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে কলম্বিয়াকে। কলম্বিয়ার হয়ে সাতটি বিশ^কাপের ম্যাচে ১০ গোলে হামেস রড্রিগুয়েজের সম্পর্ক রয়েছে। এর মধ্যে নিজে করেছেন ৬টি ও বাকি চারটি এসিস্ট করেছেন। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়টা ছিল বিশ^কাপে তাদের যৌথভাবে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৪ সালে গ্রীসকে ৩-০ ও জাপানকে ৪-১ গোলে পরাজিত করেছিল কলম্বিয়া।