মাদক চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশ-ভারতের ঐকমত্য

350

ঢাকা, ১০ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : মাদক দ্রব্য চোরাচালন বন্ধে বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) ও ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ঐকমত্যে পোঁছেছে।
আজ রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে বাংলাদেশ ও ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নোডাল এজেন্সির মহাপরিচালক পর্যায়ে দু’দিন ব্যাপী ৬ষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সভায় দু’দেশ এই ঐক্যমত্যে পোঁছেছে।
দু’দেশের মহাপরিচালক পর্যায়ের যৌথ বৈঠকের পর আজ এক ‘মিট দ্য প্রেসে’ তারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সভায় উভয় পক্ষ মাদক চোরাচালানের রুটসমূহের তালিকা বিনিময় করেছে বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো: জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, যৌথ বৈঠকে ফেন্সিডিলসহ অন্যান্য মাদক যেসব রুট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সেসব রুট সম্পর্কে বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর মহাপরিচালককে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে তারা (ভারত) ইতিবাচক ও কার্যকরী ভুমিকা রাখবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
বৈঠক সফল হয়েছে উল্লেখ করে ডিজি জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, মাদক ও মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত ঘটনায় ভারতে বাংলাদেশী যারা গ্রেফতার রয়েছে, তাদের হস্তান্তরের ব্যাপারে ভারত ইতিবাচক এবং এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভারতে অবৈধ গাজা ও পপি চাষ বন্ধে আলোচনা হয়েছে। ভারত এসব মাদক ধ্বংস করে দিবে বলে জানিয়েছে।
ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা যৌথ ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ বন্ধে করণীয় সর্ম্পকে আমাদের জানিয়েছে। এব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিবো।
তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
এই সভায় ভারতের পক্ষে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা এবং ২১ সদস্যের বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: জামাল উদ্দীন আহমেদ।