একটি স্কোয়াড্রন ও কয়েকটি ইউনিট’কে বিমান বাহিনী’র পতাকা প্রদান

168

ঢাকা, ৯ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি স্কোয়াড্রন ও কয়েকটি ইউনিটকে ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পতাকা’ প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বুধবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ‘বঙ্গবন্ধু ঘাঁটি’তে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পতাকা প্রদান করেন।
আজ আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর অর্ন্তগত ২৫ নং স্কোয়াড্রন, ২০১ রক্ষণাবেক্ষেণ ইউনিট, ২০৩ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট এবং এ্যারো মেডিকেল ইনস্টিটিউট’কে তাদের পেশাগত দক্ষতার জন্য ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পতাকা’ প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু’র প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে বিমান বাহিনী প্রধানকে স্বাগত জানান ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. সাঈদ হোসেন।
পতাকা প্রদানের এ অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান ‘বঙ্গবন্ধু ঘাঁটি’ আয়োজিত একটি মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।
কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন উইং কমান্ডার মো. মাসুদুর রহমান, জিডি(পি)।
বিমান বাহিনী প্রধান বাদক ও পতাকাবাহী দলের সমন্বয়ে একটি অনাড়ম্বর পরিবেশে ২৫ নং উড্ডয়ন স্কোয়াড্রন, ২০১ ও ২০৩ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট এবং বিষেশায়িত এ্যারো মেডিকেল ইনস্টিটিউট’কে ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পতাকা’ হস্তান্তর করেন।
হস্তান্তরের পর বিমান বাহিনী প্রধান মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি বিমান বাহিনীর সকল স্তরের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বাহিনীর সদস্যদের সাহসিকতাপূর্ণ অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষতা অর্জনের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশের আকাশ সীমার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ছাড়াও ভবিষ্যতে মহাকাশেও অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এছাড়াও, দেশের এভিয়েশন শিল্প বিকাশে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিমান বাহিনীর পতাকা অর্জনকারী স্কোয়াড্রন, ইউনিট এবং প্রশিক্ষণ ইউনিটের প্রতিটি সদস্যকে বিমান বাহিনী প্রধান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বিমান বাহিনীর সম্মানের প্রতীক হিসেবে প্রদানকৃত কালারের মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানান।
পরে তিনি পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ এবং বিমান বাহিনীর অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে চলেছে এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু সর্বক্ষেত্রেই এ সব কার্যক্রমে নিয়মিত ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
নিত্য-নৈমিত্তিক স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এই ঘাঁটি দেশের সমগ্র বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিতকরণ, সেনা, নৌ ও অন্যান্য বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং অসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। অত্র ঘাঁটির বিভিন্ন কর্মকান্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুকে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেন।