বাসস দেশ-২৬ : হয়রানি ও দুর্নীতিরোধে ই-নামজারি সিস্টেম চালু হয়েছে : ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান

245

বাসস দেশ-২৬
হয়রানি-ই-নামজারি
হয়রানি ও দুর্নীতিরোধে ই-নামজারি সিস্টেম চালু হয়েছে : ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান
চট্টগ্রাম, ৭ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) উম্মুল হাছনা বলেছেন, ভূমির নামজারি করতে গিয়ে অফিসে ভীতি, হয়রানি ও দুর্নীতি রোধে সরকার ই-নামজারি সিস্টেম চালু করেছে। ফলে কোন মাধ্যম ছাড়াই ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরের লোকজন সহজে সরকারের এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে। ফলে ভূমি অফিসের দুর্নাম ঘুচাবে।
তিনি বলেন, ভূমি সংক্রান্ত কাজগুলো অনেক জটিল। নামজারিসহ কাজগুলো কম খরচে, অতি সহজে ও দুর্নীতিমুক্তভাবে মানুষের দোরগোড়ায় কীভাবে পৌঁছে দেয়া যায় সে লক্ষ্যে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ই-নামজারি ভূমি সংস্কার বোর্ডের অন্যতম কাজ।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ই-নামজারি বিষয়ক বিভাগীয় সঞ্জীবনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এটুআই’র সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা আফরিন মুস্তফার সঞ্চালনায় অনুষ্টিত বিভাগীয় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. হাবিবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, তৃণমূল পর্যায়েও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো (ইউডিসি) ভূমির নামজারিসহ অন্যান্য কাজগুলো অতি স্বল্প সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে করছে। ই-নামজারির বিষয়টি একটি সিস্টেমে আসলে মানুষ সহজেই সুফল ভোগ করবে ও আস্তে আস্তে ভোগান্তি কমবে। এজন্য এলাকা ভিত্তিক গণশুনানী করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ভূমির নামজারিসহ অন্যান্য সেবা দিতে গিয়ে কোন ধরণের দুর্নীতিতে জড়ানো যাবেনা। ভূমিতে জন্ম, ভূমিতে মৃত্যু- এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কোন ধরনের মাধ্যম ছাড়াই অতি সহজে ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। ই-নামজারির আবেদন কিভাবে করতে হবে তা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে জানিয়ে দিতে হবে। মানুষকে সচেতন করা গেলে ভূমি অফিসগুলো দালালমুক্ত হবে।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন ১১ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
বাসস/জিই/১৯৩৮/-আসাচৌ