আধুনিক রাষ্ট্রের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সঠিক জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক বিভাজন জানা প্রয়োজন : এলজিআরডি মন্ত্রী

165

ঢাকা, ৬ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আধুনিক রাষ্ট্রের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সঠিক জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক বিভাজন জানা প্রয়োজন।
তাৎক্ষণিকভাবে জনসংখ্যা জানার সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে সঠিকভাবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পাদন-একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,সিটি কর্পোরেশন,পৌরসভা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, ইউনিয়ন পরিষদ ও বিদেশে অবস্থিত ৫৫টি দূতাবাসসহ মোট ৫১০৭ টি নিবন্ধক কার্যালয়ে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এলজিআরডি মন্ত্রী আজ রোববার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তাজুল ইসলাম বলেন,সার্বিকভাবে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের হার প্রায় শতভাগ হলেও শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার এখনো সন্তোষজনক নয়।
বিশ্বের উন্নত দেশসমূহে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই জন্ম নিবন্ধন করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী আমাদের দেশেও শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন শতভাগ করতে হবে। এ হার বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরী।’ মন্ত্রী বলেন,এটা করা না হলে শিশুর জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে। এতে করে সমাজে বাল্যবিবাহ, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীদের শ্রমিক হিসেবে বিদেশ গমণের প্রবণতা বাড়বে এবং সার্বিকভাবে শিশুর অধিকার সুরক্ষাও কঠিন হবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লে¬খ করে তাজুল ইসলাম বলেন, শুধুমাত্র ১৮ বছরের উর্দ্ধ-বয়সীদের জন্যই জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে। এ কারণে দেশের সব মানুষের জন্ম সনদ প্রয়োজন।
তিনি বলেন,জন্ম নিবন্ধন সনদে শিশুর যাবতীয় তথ্য সন্নিবেশিত থাকতে হবে। শিশুটির যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন সে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবে এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভোটার তালিকায় তার নাম সংযোজিত হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মানিক লাল বনিক ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ’র ডেপুটি প্রতিনিধি ভীরা মেনডনকা বক্তৃতা করেন ।
এর আগে রোববার সকালে দিবসটি উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এটি সচিবালয় লিঙ্ক রোডের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে কাকরাইলের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমানে গিয়ে শেষ হয়।
বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী, স্কাউটস ও জনসাধারণ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।