জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্বন শুল্ক চালুর ওপর আইএমএফে’র গুরুত্বারোপ

181

ঢাকা, ৫ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং নগর দূষণ সীমিত করতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আরো অভ্যন্তরীণ শুল্ক সংগ্রহের লক্ষ্যে কার্বন টেক্স প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
বাসসকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে ঢাকাস্থ আইএমএফে’র আবাসিক প্রতিনিধি রেগনার গাডমুন্ডসন বলেন, ‘কার্বন শুল্ক চালুর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানো যায়। যা জিডিপির ০.৮ থেকে ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায় এবং এ ব্যাপারে নগর দূষণ সীমিত করতে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, কয়েকটি জ্বালানি পণ্যে কার্বন শুল্ক বসালে তা অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধি, দূষণ হ্রাস এবং নির্গমন হ্রাস প্রযুক্তি ক্লিনারের ব্যবহার উৎসাহে সহায়ক হবে।
তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় দেশের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে জিডিপি’র ৫ শতাংশের কাছাকাছি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
রেগনার গাডমুন্ডসন জানান, দেশের জাতীয় বাজেটে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমের জন্য এখন বরাদ্দ প্রায় ৯ শতাংশ। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির বিপরীতে বরাদ্দ আরো বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জরুরি ভর্তুকি কমানোরও পরামর্শ প্রদান করেন। তাছাড়া তিনি আরো সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে পরিবেশবান্ধব ব্যবসায়ী উদ্যোগকে প্রণোদনা প্রদানের উপর জোর দেন।
রেগনার বলেন, ক্লিন টেকনোলজির ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে এমন বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে দূষণের ওপর কর বসানো, গ্রীন পণ্যের জন্য প্রণোদনা এবং ব্যবসায়ীক পরিবেশকে উৎসাহিত করাসহ জলবায়ুবান্ধব বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
আইএমএফ আবাসিক প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহায়তা সংগ্রহের আহ্বান জানান।