বাসস দেশ-১৭ : শিগগিরই গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (গাউক) আইন ২০১৯ পাস করা হচ্ছে

113

বাসস দেশ-১৭
গাউক-আইন-২০১৯
শিগগিরই গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (গাউক) আইন ২০১৯ পাস করা হচ্ছে
ঢাকা, ৫ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : শিগগিরই গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (গাউক) আইন ২০১৯ পাস করা হচ্ছে। এই আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপিত হচ্ছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইয়াকুব আলী পাটওয়ারি বাসসকে জানান, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া চূড়ান্ত যাতে দ্রুত পাস করা যায় সেই লক্ষ্যে আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হবে।
৩২৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনসহ আরো তিনটি পৌরসভা নিয়ে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হচ্ছে ।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বাসসকে বলেন, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের আইনটি খুব দ্রুত পাস করা হবে। এলাকার উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে এবং একটি পরিকল্পিত আধুনিক নগরী গঠন করার জন্যই এই কর্তৃপক্ষ গঠন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
গাজীপুর ও এর সন্নিহিত এলাকার উন্নয়নে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন করা হচ্ছে। প্রায় ৮০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত গাজীপুরের উন্নয়নে ২০১৫ সালে গাউক গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৬ সালে এই গাউক গঠনের আইনের খসড়া করা হয়। এই আইনের কর্তৃপক্ষ নীতিগত অনুমোদনের জন্য চলতি বছরের ১ এপ্রিল উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও গাউক গঠন না হওয়ায় অপরিকল্পিতভাবে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে উঠছে।
এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে রাজউক থেকে আলাদা করে ১৭৭০ দশমিক ৫৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত গাজীপুরের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই গাউক গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইয়াকুব আলী পাটওয়ারি আরো বলেন, সরকার গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে দ্রুত পাস করতে কাজ করছে।
প্রস্তাবিত এ আ্ইনে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ এর কিছু ধারা সংযোগ করায় মন্ত্রিসভা বৈঠকের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজেসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে ভেটিংয়ের জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে ভেটিংয়ের মাধ্যমে সংশোধন হয়ে আবার মন্ত্রণালয়ে এসেছে। শিগগিরই তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে।
বাসস/এসপিএল/এমএআর/১৯১৫/কেজিএ