বাসস দেশ-২৩
আটক-জাহাজ-বৈঠক
চট্টগ্রাম বন্দরে আটক থাই-জাহাজের ব্যাপারে বৈঠক
ঢাকা, ৩ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী দুই থাই-জাহাজ এবং ক্রুদের ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ও রাষ্ট্রদূত পথং হুমফ্রেস এর মধ্যে আজ মন্ত্রীর দফতরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২১ আগস্ট সী উইন্ড আই ও সী ভিউ নামের দুটি জাহাজ বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে।
প্রতিমন্ত্রী থাই-ক্রুদের দ্বারা পরিচালিত মার্চেন্ট জাহাজ দুইটিকে ফিশিং জাহাজ বলে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশের বিস্তারিত তথ্য রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। জাহাজ দুইটি মেরামতের নামে মিথ্যে তথ্য প্রদানের মধ্যমে কর্ণফুলী নদীতে প্রবেশের পর বর্তমানে চট্টগ্রামের কন্টিনেন্টাল মেরিন ফিশারিজের এর জেটিতে অবস্থান করছে।
থাই-রাষ্ট্রদূত জাহাজের কাগজপত্রসহ ক্রুদের ব্যাপারে প্রকৃত ঘটনা জানতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, থাই-ক্রুগণ নিজেদের পরিচয় জানাতে কিংবা পাসপোর্ট প্রদর্শনে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে জাহাজসহ তাদের সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য এখনো জানা যাচ্ছে না। জাহাজ দুটি নিবন্ধনকৃত প্রকৃত নাম বদল করে ভুয়া নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
পোর্ট ক্লিয়ারেন্স অনুযায়ী ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করে তাদের কম্বোডিয়ায় যাবার কথা ছিল। তাই প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি কাজ করছে, যার রিপোর্ট শিগগির পাওয়া যাবে।
থাই-রাষ্ট্রদূত ক্রুদের সাথে কথা বলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রতিমন্ত্রী তাকে সর্বোতভাবে সহায়তার আশ্বাস দেন। থাইল্যান্ড বন্ধু প্রতীম দেশ হওয়ায় ক্রুদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি এবং তাদের ওপর কোনো রকম শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগও করা হয়নি বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, তৌফিকুল আরিফ (ব্লু-ইকোনমি), যুগ্মসচিব অসীম কুমার বালা, মাহবুবা পান্না, শ্যামল চন্দ কর্মকার উপস্থিত ছিলেন। থাই-রাষ্ট্রদূতের সাথে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর ক্রাইচুক অরুনপারোজকুল ও পাওয়ারনাট সিমাসকুল।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৮৪০/-কেএমকে