বাসস দেশ-৮ : ২০২১ সালের মধ্যে যেকোন উপায়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন করা হবে : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী

201

বাসস দেশ-৮
শিশু-মুজিবুল-সভা
২০২১ সালের মধ্যে যেকোন উপায়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন করা হবে : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ জুন, ২০১৮ (বাসস) : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে যে কোন উপায়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে সরকার দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের কাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার তিনবছর মেয়াদী প্রায় ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সরকারি ও বেসরকারী সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের ষষ্ঠ সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এ কথা বলেন।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব আফরোজা খান ও অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন বক্তৃতা করেন।
এতে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সালমা আলী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. শামসুজ্জামান ভূঁইয়া, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধি সৈয়দা মুনিরা সুলতানা, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের প্রতিনিধিসহ জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক শিশু শ্রম নিরসনের উপায় সংবলিত সংবাদ গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে সকল ধরণের শিশুশ্রম নিরসন করা হবে। শিশুশ্রম নিরসনে সরকারী-বেসরকারি সংস্থা নানামুখী কার্যক্রম বা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালের পর শিশু শ্রম জরিপের ওপর জাতীয়ভাবে কোন কাজ করা হয়নি। তাই সারাদেশে কি পরিমাণ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে সে বিষয়ে একটি জরিপের উদ্যোগ নেয়া হবে। ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কি পরিমাণ শিশু নিয়োজিত রয়েছে তা জরিপের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে অনুরোধ পাঠাবে মন্ত্রনালয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব বলেন, শিশু শ্রম নিরসন করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের শিশুরা কেমন থাকবে সে বিষয়ে আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাসস/এএসজি/এমএন/১৬৪৫/-কেজিএ