বায়ার্নের কাছে ৭-২ গোলে বিধ্বস্ত টটেনহ্যাম

178

লন্ডন, ২ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : জার্মান মিডফিল্ডার সার্জি গ্যানাব্রির হ্যাটট্রিকসহ চার গোলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ৭-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। যেকোন ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে কোন ইংলিশ ক্লাবের এটাই সবচেয়ে বড় পরাজয়।
বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন ম্যাচের শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়ান তারকা সং হেয়াং-মিনের গোলে পিছিয়ে পড়েছিল। কিন্তু তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে স্পার্সদের জালে সাত গোল দিয়েছে বেভারিয়ান্সরা। মাঝে অবশ্য অধিনায়ক হ্যারি কেনের পেনাল্টিতে এক গোল পরিশোধ করে টটেনহ্যাম। হ্যারি কেনের ঐ গোলের পর ৪-২ গোলে পিছিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। তবে তারপর পাঁচবারের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নরা শেষ পর্যন্ত নিজেকের আরো একধাপ প্রমান করেছে।
ম্যাচ শেষে বায়ার্ন বস নিকো কোভাচ বলেছেন, ‘এটা বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মান ফুটবলের জন্য দারুন একটি দিন ছিল। ইংল্যান্ডের মাটিতে এই ধরনের পারফরমেন্স উপহার দেয়া সত্যিই বিশেষ কিছু। স্পার্স কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। আজকের ম্যাচে গ্যানাব্রি ও ম্যানুয়েল নয়্যার দুর্দান্ত খেলেছে।’
জুনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলা টটেনহ্যাম লিভারপুলের কাছে পরাজিত হয়ে রানার্স-আপ হয়েছিল। গত বছরও তাদের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি। প্রথম তিন ম্যাচে তারা মাত্র এক পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল। তবে লন্ডনে নিজেদের নব নির্মিত মাঠে স্বাগতিক দলের এই বিপর্যয় থেকে মানসিক ভাবে খেলোয়াড়দের আবারো লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনাই হবে পোচেত্তিনোর সামনে মূল চ্যালেঞ্জ। স্পার্স বস ইতোমধ্যেই এই পরাজয়ের পর সকলকে একত্রে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। ম্যাচ শেষে তিনি স্বীকার করেছেন বিরতির ঠিক আগে বায়ার্নের দ্বিতীয় গোলটিই তার দলকে পিছিয়ে দিয়েছিল। পচেত্তিনো বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা। এখানে তাড়াহুড়া করে কোন বিচার, পর্যালোচনা কিংবা পর্যবেক্ষণ করা যাবেনা। সবকিছুই পেশাদার মনোভাব নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে বোঝা যাবে মানসিক ভাবে কে কতটা শক্তিশালী।’
অথচ ম্যাচের শুরুতে বোঝা যায়নি ম্যাচ শেষে কি হবে। টটেনহ্যামের লিড অবশ্য মাত্র ১৯৪ সেকেন্ডের মধ্যে জসুয়া কিমিচের গোলে সমতায় ফেরায় বায়ার্ন। রবার্ট লিওয়ানোদোস্কির গোলে বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান দ্বিগুন হয়।
দ্বিতীয়ার্ধটা পুরোটাই অবশ্য ছিল আর্সেনালের সাবেক খেলায়াড় গ্যানাব্রিকে ঘিড়ে। ৫৩, ৫৫, ৮৩ ও ৮৮ মিনিটে তিনি টটেনহ্যামের জালে চারবার বল প্রবেশ করিয়েছেন। মাঝে অবশ্য ৮৭ মিনিটে লিওয়ানোদোস্কি তার দ্বিতীয় গোল উপহার দিয়েছেন। কোন বড় প্রতিযোগিতায় এই প্রথমবারের মত স্পার্সরা ঘরের মাঠে সাত গোল হজম করলো।
এই জয়ে দুই ম্যাচে দুটিতেই জয়সহ পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-বি’র শীর্ষস্থান ধরে রাখলো বায়ার্ন। অন্যদিকে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে দুই গোলে এগিয়ে থেকে ২-২ গোলে প্রথম ম্যাচে ড্র করায় মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের একেবারে তলানিতে চলে গেছে গতবারের রানার্স-আপরা। যদিও বাজে শুরু পরেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেড স্টার বেলগ্রেডের থেকে তারা মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার দিনের অপর ম্যাচে রেড স্টার ৩-১ গোলে অলিম্পিয়াকোসকে পরাজিত করেছে।
বাসস/নীহা/১৬১৫/স্বব