বাসস ক্রীড়া-১৫ : বিপ পরীক্ষার স্তর বাড়াতে ব্যর্থ হলেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা

254

বাসস ক্রীড়া-১৫
ক্রিকেট-বিপ পরীক্ষা-এনসিএল
বিপ পরীক্ষার স্তর বাড়াতে ব্যর্থ হলেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা
ঢাকা, ১ অক্টোবর ২০১৯ (বাসস): আসন্ন জাতীয় ক্রিকেট লীগকে (এনসিএল) সামনে রেখে আজ থেকে খেলোয়াড়দের বিপ টেস্ট শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ঘরোয়া এই ক্রিকেটের জন্য বিপ পরীক্ষার সর্বনিন্ম স্তর বেঁধে দেয়া হয়েছে ১১। যেটি পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণে আগ্রহী বিপুল সংখ্যক ক্রিকেটার।
ক্রিকেটারদের শারিরিক ফিটনেসকে সংহত করার লক্ষে এবারের এনসিএলে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের বিপ টেস্ট বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। এর স্তরকেও ৯ থেকে ১১ তে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে বিষ্ময় প্রকাশ করেন বিপুল সংখ্যক ক্রিকেটার। তাদের অভিযোগ বিপ টেস্টের প্রস্তুতির জন্য তারা পর্যাপ্ত সময় পাননি। নতুন এই সিদ্ধান্তের খবর তারা জেনেছে কয়েকদিন আগে। খেলোয়াড়দের এই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই আজ বিসিবি’র স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশন কোচ তুষার কান্তি হাওলাদারের তত্ত্বাবধানে এনসিএলের কিছু খেলোয়াড়ের বিপ টেস্ট করানো হয়।
এতে অধিকাংশ খেলোয়াড়ই সর্বনিন্ম স্তর ১১ পুরণ করতে পারেনি। আর সিনিয়র খেলোয়াড়দের একটি অংশ এর ধারে কাছেই যেতে ব্যর্থ হয়েছে। এদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি ও আব্দুর রাজ্জাক। যারা ১০ এর নীচেই আটকে গেছেন।
তুষার কান্তি বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি মোটামুটি ভাল। তারা আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও ভাল করেছে। অনেকে যদিও খুব একটা ভাল করেনি। তবে এটি স্বাভাবিক। সবাই একই গতিতে দৌঁড়াতে পারে না। কারণ তারা ভিন্ন ভিন্ন হাড় ও পেশী নিয়ে জন্মেছে।’
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষায় সর্বোচ্চ বিপ পাওয়া গেছে ১২.৭, আর সর্বনিন্ম ছিল ৯.৬ বা তারো কম। বিপ টেস্টে ১১ না পাওয়া পর্যন্ত কোন খেলোয়াড় এনসিএলে খেলার সুযোগ পাবে না বলে বিসিবি’র লক্ষ্যের কথা পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, ‘সর্বন্মি লক্ষ্য পূরণ না করা পর্যন্ত খেলোয়াড়রা এনসিএলে খেলার সুযোগ পাবেন না।’
নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হবার পর থেকেই নিয়মিতভাবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তিনি ইংল্যান্ডে কেন্ট লীগেও খেলেছেন। যে কারণে আশা করা হচ্ছিল এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন আশরাফুল। তবে তিনি ব্যর্থ হওয়ায় বিষ্মিত হয়েছেন অনেকে।
তাদের দাবী কেন্টে ৩০ থেকে ৪০টিরও বেশি ম্যাচ খেলা আশরাফুল ফিটনেসের দিক থেকে ভাল অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও বিপ টেস্টে মাত্র ৯.৭ এ পৌঁছেছেন। আশরাফুল বলেন, ‘১০.৪ বা ১০.৫ পেলেও আমার জন্য উপযুক্ত হতো। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে ৯.৭।’
আশরাফুল বলেন, ‘আগামী ৪ অক্টোবর আরেকটি বিপ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি পরের তিনদিন অনুশীলনের মাধ্যমে আমি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সুম্পর্ন পূরণ করতে পারব।’
নিজে ব্যর্থ হবার পরও এই পরীক্ষার প্রশংসা করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ব্যাটসম্যান। বলেন, এর ফলে ক্রিকেটাররা খেলায় না থাকলেও নিজেদের ফিটনেস ঠিক রাখার ব্যাপারে মনোযোগ দেবে।
মাত্র ৯.৭ স্কোর করে এই টেস্টে উত্তীর্ন হতে পারেননি আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার নাসির হোসেন। এই অঙ্গনে সবচেয়ে ফিট খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত এই ক্রিকেটারের বিপ পরীক্ষার ফলাফলটিও সবাইকে বিষ্মিত করেছে।
কিছুদিন আগেই নাসির বিপ টেস্টের সমালোচনা করে বলেছিলেন, বিপ টেস্ট ও ম্যাচ ফিটনেস সম্পূর্ণই আলাদা। তিনি বলেন, ‘আমার দেখা মতে অনেক খেলোয়াড়ই বিপ টেস্টে প্রত্যাশিত পয়েন্ট অর্জনে ব্যর্থ হয়েও সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট দখলে সক্ষম হয়েছেন।’
সিনিয়র বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক বিপ টেস্টে পেয়েছেন ৯.৪ পয়েন্ট। আর আরাফাত সানি লাভ করেছেন ৯.৫। তবে তাদের দাবী অন্তত ৯.৮ পয়েন্ট পাবার যোগ্যতা রাখেন তারা। সানি বলেন, ‘আমি হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করছি। তারপরও এর বেশি পয়েন্ট পাবার যোগ্য। আমার ক্ষেত্রে এটি হওয়া উচিত ছিল ৯.৮, কিন্তু সে জায়গায় তারা কেন ৯.৫ বা ৯.৬ লিখেছে জানি না।’
বাসস/এমএইচসি/১৯৫০/স্বব