বাসস ক্রীড়া-১১ : দেশের ক্লাবগুলোকে মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনতে চান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

143

বাসস ক্রীড়া-১১
ক্লাব-মন্ত্রণালয়
দেশের ক্লাবগুলোকে মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনতে চান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ অক্টোবর ২০১৯ (বাসস) : দেশের ক্লাবগুলোকে মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনাতে চান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ক্রীড়া ক্লাব নিবন্ধনসহ সব ধরনের নজরদারির সুযোগ চায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়ায় এসব ক্লাবের জবাবদিহিতার আওতায় রাখতে চায় সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ক্রীড়া ক্লাবগুলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থাকা উচিত।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। আরো বলেন, ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা থাকা দুঃখজনক। ক্লাবগুলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অধিভুক্ত নয় বলে তাদের ওপর নজরদারি করার সুযোগ নেই। তবে সময় এসেছে আইন পরিবর্তনের। তিনি ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে বলেন, আমি এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ক্লাবগুলো ক্যাসিনো ব্যবসা জড়িত হওয়ায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও মনে করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো জানান, রাজধানীর বেশিরভাগ ক্লাব লিমিটেড কোম্পানী হওয়ায়, এগুলোর ওপরে নজরদারি করার এখতিয়ার নেই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের, আগামীতে যাতে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় সেই আইনি অধিকারের তাগিদ দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে বিভিন্ন ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ পর্যালোচনা সভায় মিলিত হন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। সভায় মুজিব বর্ষে ৮৯টি ইভেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরমধ্যে ৩৯টি আন্তর্জাতিক, বাকিগুলো জাতীয়। এ জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৩০৬ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় তহবিল ও স্পন্সরদের সমন্বয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
বাসস/সবি/১৭৪০/স্বব