বান্দরবানে নারীদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরাতে সরকারের গাভী পালন প্রকল্প

427

বান্দরবান, ১ অক্টোবর, ২০১৯(বাসস): পার্বত্য অঞ্চলের অস্বচ্ছল ও প্রান্তিক পরিবারের নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গাভী পালন প্রকল্পের আওতায় বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১৮০ পরিবারের মাঝে গাভী বিতরণ করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার পারিবারিক আয় বৃদ্ধিকরণ এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণ, উন্নয়নের সুযোগ সম্প্রসারণ এবং পুষ্টি, পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতি সাধন ও নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, দুগ্ধ এবং মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, গুড়া দুধের আমদানি হ্রাসকরণ এবং মানসম্পন্ন চামড়া ও হাড় রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বৃদ্ধিকরণই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
প্রকল্প সহকারী পরিকল্পনা কর্মকর্তা (এসিসট্যান্ট প্লানিং অফিসার) মনোতোষ চাকমা জানান, বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচিতে ৪০, রুমায় ৫০, আলীকদমে ৩০ এবং লামা উপজেলায় ৬০ পরিবারের মাঝে এ অর্থ বছরে গাভী বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ১২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে চার অর্থবছরে অস্বচ্ছল ও প্রান্তিক পরিবারের নারীদের উন্নয়নে পার্বত্য তিন জেলার ১৩০০ পরিবারের মাঝে গাভী বিতরণ করা হবে। এরই মধ্যে দুই অর্থবছরে তিন পার্বত্য জেলায় ৬৭০ পরিবারের মাঝে গাভী বিতরণ এবং প্রকল্পের ৫ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
প্রকল্পটির সাথে ভিশন-২০২১, এসডিজি, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং সরকারের ইশতেহারের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা দুস্থ পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করে আমাদের কাছে তালিকা পাঠান। তালিকাটি যাচাই-বাছাই শেষে আমরা গরুর বাছুর বিতরণ করি। এছাড়াও বিতরণকৃত গরুগুলো উপকারভোগীরা ঠিকমত রক্ষণাবেক্ষণ করছে কিনা তা দেখার জন্য রয়েছে প্রতিটি উপজেলায় মনিটরিং কর্মকর্তা।
এদিকে, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, পার্বত্য অঞ্চলে ২৬টি উপজেলার মধ্যে ১৩টি উপজেলার জন্য এ প্রকল্পটা নেয়া হয়েছে। প্রতি উপজেলায় ১০০ পরিবারের মাঝে গাভী বিতরণ করে দেখা হচ্ছে কোথায় কি সমস্যা। এ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পরে এটা একটা বড় ধরনের প্রকল্প হবে।
তিনি আরো জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে অস্বচ্ছল নারীদের গাভী দেয়া হচ্ছে এবং লালন-পালন সর্ম্পকিত প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। তারা যদি গাভী পালনে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে তাহলে তাদের কর্মসংস্থান হবে।
এছাড়াও গরুর কৃত্তিম প্রজননের মাধ্যমে যদি উন্নত জাত নিয়ে আসা যায় এ অঞ্চলের মানুষের দুধ এবং মাংসের চাহিদাও পূরণ হবে জানান প্রকল্পের পরিচালক।