বাসস দেশ-৮ : শিশু-বান্ধব বিদ্যালয়ের জন্য আনন্দঘন শিখন পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ

126

বাসস দেশ-৮
কর্মশালা-শিশু-বান্ধব-বিদ্যালয়
শিশু-বান্ধব বিদ্যালয়ের জন্য আনন্দঘন শিখন পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ
রংপুর, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস): সোমবার রংপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মিলনায়তনে ’স্কুল ইফেকটিভনেস প্রোগ্রাম’ এর আওতায় আয়োজিত এক ওরিয়েন্টশন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা শিশু-বান্ধব বিদ্যালয়ের জন্য গুণগত শিক্ষা ও আনন্দঘন শিখন পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তারা বলেন, একমাত্র শিশু বান্ধব প্রাথমিক বিদ্যালয় কাঙ্খিত শিক্ষার পরিবেশ ও গুণগত শিক্ষা
নিশ্চিত করতে পারে। এজন্য প্রয়োজন আনন্দপূর্ণ শিখন পরিবেশ, কার্যকর শিখন শিক্ষণ এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। এত করে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিশুরা কাঙ্খিত শিক্ষা ও সুন্দর জীবন নিয়ে বেড়ে উঠবে।
ইউনিসেফ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এর সহযোগিতায় আজ আয়োজিত স্কুল ইফেকটিভনেস প্রোগ্রাম এর আওতায় আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় রংপুরের ৩২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ইফেকটিভনেস প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রশিক্ষন কর্মসূচিতে রংপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগন অংশগ্রহন করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আবদুল ওয়াহাব এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান নাজিবুল্লাহ হামীম।
মোঃ আবদুল ওয়াহাব তার স্বাগত বক্তব্যে রংপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের শিশুদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার আহবান জানান।
ইউনিসেফ কর্মকর্তা নাজিবুল্লাহ হামীম শিশুদের জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, একটি বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর জন্য কতটা নিরাপদ ও সুরক্ষিত- তা নির্ধারণ করতে হবে। শিক্ষার্থী কি শারীরিক ও মানসিকভাবে কোনো ধরনের চাপে আছে না-কি ভয়হীন পরিবেশে শিক্ষা লাভ করছে তার ওপর বিশেষভাবে দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন। কোনো বিদ্যালয়ে পড়ালেখা বা শৃঙ্খলার জন্য শাস্তি প্রদান করা হয় কি-না -তা ফিরে দেখা প্রয়োজন। সব বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আলাদা শ্রেণিকক্ষ আছে কি-না, কিংবা বিদ্যালয়ে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক ওয়াশব্লক আছে কি-না, খেলাধুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি-না- তা দেখতে হবে। সচল অবস্থায় থাকা টয়লেটের সংখ্যাও বের করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ শিশুদের জন্য নিরাপদ, সুরক্ষিত ও আনন্দময় হতে হবে। সুশাসন মানে শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন করা নয়।
এসময় বক্তরা বিদ্যালয়ে ঠিকমতো মনিটরিং হচ্ছে কি-না, শিক্ষকগণ ঠিকমতো ক্লাসে যাচ্ছেন কি-না, শিক্ষকগণ নিয়মিত বাড়ি পরিদর্শন করছেন কি-না, বিদ্যালয়ের যাবতীয় কর্মকান্ডের মাঝে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আছে কি-না – সেটা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।
অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ শিক্ষা কর্মকর্তা সিফাত-ই-ইসলাম এবং যোগাযোগ কর্মকর্তা মনজুর আহমেদ।
বাসস/এমআই/১৭১০/-আসাচৌ