বাজিস-৫ : জগন্নাথপুরে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন

133

বাজিস-৫
সুনামগঞ্জ-ভূমি অধিগ্রহণ
জগন্নাথপুরে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন
সুনামগঞ্জ, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস): পাইপলাইনের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে পানীয় জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে জগন্নাথপুর পৌরসভার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৮ সালের দিকে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি জটিলতায় অনিশ্চতায় দেখা দেয়। তবে চলতি বছর প্রকল্পের ভূমি বরাদ্দ পাওয়া যাওয়ায় জটিলতায় কেটে গেছে। ফলে আগামী এক মাসের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে।
জানা গেছে, সারাদেশে ২৩টি পৌরসভার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের জন্য একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ একনেকে ২০১৮ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর অনুমোদন করা হয়। অনুমোদিত প্রকল্পে ৯৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র জানায়, দেশের ২৩টি পৌরসভার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় জগন্নাথপুর উপজেলায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বাস্তবায়নে ৪ একর, ৪৩ শতক জমি ভূমিতে পৌরসভার জন্য একটি গ্রাউন্ড ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ওভার হেড ট্যাংক, একটি সলিট ওয়েস্ট কস্পোস্টিং সিস্টেম, ২৬ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, ৯৫টি গভীর নলকূপ স্থাপন, ৮ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন, ১৫টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ৬টি পাবলিক টয়লেট, ৩৬টি ডাষ্টবিন, একটি পানি সরবরাহ অফিস, ও ২টি তিন টন ওজনের ট্রাক বরাদ্দ রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত বাংলাদেশের ২৩ পৌরসভা ও স্যানিটেশন প্রকল্পের পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গত বছরের ৯ জানুয়ারি জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র বরাবরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৪ একর ৪৩ শতক ভূমি ৫ দিনের মধ্যে অধিগ্রহণ করে তথ্য পাঠানোর জন্য চিঠি দেন। কিন্তু ভূমি জটিলকায় ওই সময় প্রকল্পের কার্যক্রম আটকে যায়। পরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নিকট ভূমি পাওয়ার জন্য আবেদন হয়।
এরপর আবেদনটি ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলে সাম্প্রতি মন্ত্রণালয় জগন্নাথপুর পৌরশহরের কামাল কমিউনিটি সেন্টারের নিকটবর্তী এলাকায় সরকারি দেড় একর ভূমি অনুমোদন করে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় ভূমি কম থানায় প্রকল্পের একটি সলিট ওয়েস্ট কস্পোস্টিং সিসস্টেম প্রকল্প থেকে বাদ পড়েছে। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকা’র নির্বাহী প্রকৌশলী শিশির কুমার বিশ্বাস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঢাকা’র জরিপ অনুসন্ধান ও গবেষণা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্নালী দেবনাথ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
জগন্নাথপুর পৌরসভার প্রকৌশলী সতীশ গোস্বামী বলেন, প্রকল্পের পরিচালকের পত্র পাওয়ার পর ৪ একর ৪৩ শতক ভূমির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে সরকারি জায়গা চেয়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। যার প্রেক্ষিতে দেড় একর ভূমি পাওয়া গেছে। প্রকল্পটি বর্তমানে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রব সরকার বলেন, আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রচেষ্টায় জগন্নাথপুরের জনসাধারণের সুবিধার্থে ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পটি পাওয়া গেছে। শুরুতে ভূমি জটিলতায় প্রকল্পটি অনিশ্চিতায় মুখে পড়ে। অবশেষে দেড় একর ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হওয়াতে আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে এটি টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ সমাপ্তি হতে দেড় বছরের মতো সময় লাগতে পারে।
জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হলে মন্ত্রণালয় এটির অনুমোদন দেয়।
বাসস/সংবাদদাতা/১৩২০/নূসী