নড়াইল, ৩০ সেপ্টম্বর, ২০১৯ (বাসস) : শারদীয় দুর্গোৎসব আর মাত্র কয়েকদিন বাকি তাই পূজা মন্ডপগুলোতে দিনরাত চলছে প্রতিমায় রংতুলি আর সাজ-সজ্জার কাজ। ভাস্করদের নিপুণ হাতের শৈল্পিক ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরি হচ্ছে প্রতিটা মন্ডপে। শিল্পীদের নাওয়া খাওয়ার ফুসরত নেই। গভীর রাত পর্যন্ত এ সকল প্রতিমা শিল্পীরা কাজ করছেন আর তাদের সহযোগিতা করছেন প্রতিটা মন্ডবের পূুজা উদযাপন কমিটির লোকেরা।
জানা গেছে, নড়াইলের চারিদেকে এখন দুর্গাপ্রতিমা তৈরী আর পূুজামন্ডপ সাজানোর কাজ চলছে। দুর্গোৎসবে মন্ডপের অন্যতম আকর্ষণ প্রতিমা। আর এ প্রতিমা তৈরির কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। প্রতিমা শিল্পীরা একসাথে অনেকগুলো প্রতিমার কাজ শুরু করায় কোথাও চলছে দোমাটির কাজ, কোথাও আবার রঙ্গের কাজ শুরু হয়েছে। রাত-দিন কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা, পূুজা শুরুর আগেই তাদের সব কাজ শেষ করতে হবে । কোথাও আবার প্রতিমার সাজ বাড়াতে জেলার বাইরে থেকেও প্রতিমা শিল্পী আনা হয়েছে। প্রতীমা শিল্পীরা ৩ মাস ধরে কাজ করে শেষ পর্যায়ের রংয়ের প্রলেপ দিচ্ছেন। মা দূর্গা এবার মর্তে আসবেন দোলায় অর্থাৎ পালকিতে চড়ে আবার বাবার বাড়ি কৈলাশে ফিরে যাবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়।
প্রতিমা শিল্পী তাপস পাল বলে, আমরা ৪ জনের একটি দল এ বছর ১০টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরী করছি। প্রতিটি মন্ডপে আমরা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্তু পেয়ে থাকি।
অধির পাল বলেন, প্রতিমা তৈরীতে অনেক পরিশ্রম করতে হচ্ছে আরমাত্র কয়েকদিন বাকি এর মধ্যে রংতুলি এবং সাজ-স্বজ্জার কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্টদের বুঝে দিতে হবে।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক কুন্ডু বলেন, জেলার ৫৮২ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে মন্ডপগুলোতে শেষ সময়ে প্রতিমার রংতুলির কাজ এবং মন্ডপগুলো সাজস্বজ্জ্বার কাজ চলছে। প্রতিবছরের মত এ বছরও জেলা শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, দুর্গা পূুজা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে সাদা পোশাকে পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ মন্ডপগুলোতে থাকছে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদ্যাপনের লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।