গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর : এলজিআরডি মন্ত্রী

607

ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গ্রাম আদালতকে সক্রিয়করণ ও মামলার জট কমানোর মাধ্যমে জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।
আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে ‘গ্রাম আদালত বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিন্ক, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী এবং বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের। মুক্ত আলোচনা পরিচালনা করেন সাংবাদিক নেতা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই ২০১৭ হতে আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত দুই বছরে প্রকল্প এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১ লাখ ৩৩ হাজার, ৬৬৪টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এছাড়া ১ লাখ ৬ হাজার ৭০২টি মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে এবং ১ লাখ ৩৩৩টি মামলার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে গ্রাম আদালত কার্যকরণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব প্রদান করে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
পল্লী এলাকার নারী, দরিদ্র ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় দেশের ১৪টি জেলার ৫৭টি উপজেলায় ৩৫১টি ইউনিয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রথম পর্যায় সমাপ্তির পর উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সরকারের যৌথ উদ্যোগে দেশের ২৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলার ১০৮০টি ইউনিয়নে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পটির (২০১৬-২০১৯) কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সম্প্রতি ৩ পার্বত্য জেলার ২৬টি উপজেলার ১২১টি ইউনিয়ন পরিষদকে এ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ২৮০ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ২৪০ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং জিওবি ৪০ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।