বাসস ক্রীড়া-১১ : ভাল খেলেও হেরে গেল বাংলাদেশ

384

বাসস ক্রীড়া-১১
ফুটবল-সাফ-অনুর্ধ-১৮
ভাল খেলেও হেরে গেল বাংলাদেশ
ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (বাসস) : ভাল খেলেও সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরন হলনা বাংলাদেশের। আজ নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুর এপিএফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে ৯ জনের দলে পরিণত হওয়া বাংলাদেশ।
ফাইনালের উত্তেজনা দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে এতটাই ছড়িয়ে পড়েছিল যে, বলের লড়াইয়ের পরিবর্তে পেশী শক্তি প্রদর্শনের মধ্যেই জড়িয়ে পড়ে দুই দলের খেলোয়াড়রা। আগের দুই আসরে কোন দলই শিরোপা না পাবার কারণে দুই দলের মধ্যে বেপরোয়া ভাবটি আরো বেশী কাজ করেছে।
পেশী শক্তিতে লিপ্ত হয়ে লালকার্ড পেয়ে দল দুটি প্রথম দফায় ১০ জনে পরিণত হবার আগেই গোল করে এগিয়ে যায় ভারত। তবে বিরতিতে যাবার আগেই গোলটি পরিশোধ করে দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের অতি উত্তেজনার ফল ভোগ করতে হয় তাদের। অধিনায়ক ইয়াসিন আরাফাত গোল উদযাপন করতে গিয়ে নিজের গায়ের জার্সিটি খুলে মুখ ঢেকে নেন। এর খেসারত হিসেবে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় অধিনায়ককে।
৯ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর বাংলাদেশ আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ভারতের কাছে গোল খাওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য। এ সময় গোল রক্ষক শান্ত কুমার রায় অসাধারন দক্ষতা প্রদর্শন করেন। কিন্তু শেষভাগে এসে ভেঙ্গে যায় প্রতিরক্ষার দেয়াল। গোল আদায়ে মরিয়া ভারত তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয় ম্যাচের ৯০ মিনিটের সময়। ভারতীয়দের দ্বিতীয় ও জয় পরাজয় নির্ধারণী ওই গোলেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয় লাল সবুজ শিবিরের।
এর আগে বি’ গ্রুপ থেকে টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া বাংলাদেশ শ্রীলংকাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শুভ সুচনা করে। কিন্তু গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয় তারা।
অপরদিকে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভুটান তাদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয়। তবে মালদ্বীপের সঙ্গে গোল শূন্য ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে তারা।
উল্লেখ্য ২০১৫ ও ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত আগের দুটি টুর্নামেন্টে যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিল নেপাল।
আজ ফাইনালের আগে অনুষ্ঠিত স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ভুটানকে ১-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয়স্থান লাভ করেছে মালদ্বীপ।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: মহিউদ্দিন, মিতুল মার্মা, শান্ত কুমার রায়, ইয়াসিন আরাফাত (অধি:), উত্তম চন্দ্র রায়, সাদেকুজ্জামান ফাহিম, ইমন খান, কাজী রাহাদ মিয়া, রাকিবুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম, তানবির হোসেন, এম হৃদয়, ফাহিম মোর্শেদ, ওমর ফারুক মিঠু, ইমন আলী, সাগর হোসেন, দিপক রায়, জমির উদ্দিন, ফয়সাল আহমেদ, স¤্রাট আহমেদ, নাঈম হোসেন, নিহাত জামান উচ্ছাস, মারাজ হোসেন ও আমির হাকিম বাপ্পি।
বাসস/এমএইচসি/১৯২৫/স্বব