লা লিগা : মাদ্রিদ ডার্বিতে কেউই জিততে পারলো না

184

মাদ্রিদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (বাসস) : নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের সাথে গোল শূন্য ড্র করে আবারো লা লিগায় শীর্ষস্থানে ফিরে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বিস্ময়করভাবে সাত ম্যাচ পরে শীর্ষ স্থানে উঠে আসা নতুন উন্নীত গ্রানাডার থেকে এক পয়েন্ট এগিয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ স্থান দখল করেছে গ্যালাকটিকোরা।
গ্রানাডার সাথে সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে রিয়ালের বাঁধার মুখে দিয়েগো সিমিওনের দলের গোছানো ফুটবলই স্বাগতিকদের এক পয়েন্ট উপহার দিয়েছে।
ম্যাচ শেষে রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস বলেছেন, ‘এ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে এই ম্যাচগুলো খুবই শারিরীক। এটা স্পেনের অন্যতম কঠিন মাঠ। প্রতি মৌসুমে এখানে সফর করতে হয়। আক্রমণভাগে কোন সুযোগ সৃষ্টি করাই কঠিন। কারণ তাদের রক্ষনভাগ অত্যন্ত শক্তিশালী। এখানে এসে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাওয়াটা সত্যিই সৌভাগ্যের।’
চতুর্থ স্থানে থাকা বার্সেলোনার থেকে রিয়াল দুই পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। গতকাল দিনের আরেক ম্যাচে লুইস সুয়ারেজ ও জুনিয়র ফিরপোর গোলে গেটাফেকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে মেসিবিহীন বার্সেলোনা। ইনজুরির কারনে দলের বাইরে রয়েছেন মেসি।
মাদ্রিদ ডার্বিতে ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পেয়েছিল এ্যাথলেটিকো। কিন্তু রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করতে না পারার ব্যর্থতা ম্যাচ শেষেও স্বাগতিকদের হতাশ করেছে। অন্যদিকে এ্যাথলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাকও বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সেভে রিয়ালকে হতাশ করেছে। ম্যাচ শেষের ১৫ মিনিট আগে নাচোর ক্রস থেকে করিম বেনজেমার শক্তিশালী হেড দুর্দান্ত গতিতে বাম হাত দিয়ে রুখে দেন এই স্লোভেনিয়ান গোলরক্ষক। এর কিছুক্ষন আগেই কর্ণার থেকে সাওল নিগুয়েজের হেড অল্পের জন্য বাইরে চলে গেলে এ্যাথলেটিকোর এগিয়ে যাওয়া হয়নি।
ওবলাক বলেছেন, ‘গোলরক্ষকের দিক থেকে এই সেভগুলো ছিল যথার্থ। বেনজেমার প্লেসিংটা ভাল ছিল, কিন্তু আমিও সঠিক সময় তা বিচার করতে পেরেছিলাম। সবসময়ই আশা করি এই ধরনের কিছুই যেন প্রতিটি ম্যাচে হয়।’
ডার্বির আগে অল্প সময়ের জন্য লি লিগা টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করেছিল গ্রানাডা। এন্টোনিও পুয়েরটাসের ২৮ মিনিটের গোলে লেগানেসের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েছিল গ্রানাডা। শেষ পর্যন্ত ঐ গোল আর পরিশোধ করতে পারেনি সফরকারী লেগানেস।
এদিকে কাউন্টার এ্যাটাক থেকে মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগানের পাস থেকে লুইস সুয়ারেজের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ৪১ মিনিটে গেটাফের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারী বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর সাথে সাথে জুনিয়রের গোলের এপ্রিলের পর বার্সার প্রথম এ্যাওয়ে ম্যাচের জয় নিশ্চিত হয়। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দে বলেছেন, ‘এই ম্যাচটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিছুতেই আমরা এ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পাচ্ছিলাম না। প্রথমার্ধে আমরা মোটেই ভাল খেলিনি। কার্যত লিড নেবার পর থেকে আমরা তেমন একটা সুযোগও পাইনি।’
ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে মৌসুমে এই প্রথম ঘরের মাঠে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে এ্যাথলেটিকো বিলবাও। ২৭ মিনিটে ডেনিস চেরিশেভের গোলে মৌসুমে এ পর্যন্ত খেলা সাত ম্যাচে দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত হয় ভ্যালেন্সিয়ার।