বাসস ক্রীড়া-২ : কঠিন লড়াইয়ের পর এভারটনকে পরাজিত করেছেন ম্যান সিটি, জয়ের ধারায় লিভারপুল

136

বাসস ক্রীড়া-২
ফুটবল-প্রিমিয়ার লিগ
কঠিন লড়াইয়ের পর এভারটনকে পরাজিত করেছেন ম্যান সিটি, জয়ের ধারায় লিভারপুল
লন্ডন, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (বাসস) : শনিবার প্রিমিয়ার লিগে কঠিন লড়াইয়ের পর এভারটনকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও দিনের আরেক ম্যাচে লিভারপুল ১-০ গোলে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে পরাজিত করে জয়ের ধারা ধরে রেখেছে।
অন্যদিকে ১০জনের টটেনহ্যাম হটস্পার সাউদাম্পটনকে ২-১ গোলে পরাজিত করে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে। নতুন কোচ ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ডের অধীনে চেলসি ২-০ গোলে ব্রাইটনকে পরাজিত করে লিগে ঘরের মাঠে প্রথম জয় পেয়েছে।
দিনের শুরুতেই জর্জিনিও উইজনালডামের ৭০ মিনিটের গোলে ডেডলক ভাঙ্গে লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত ঐ গোলেই সাত ম্যাচে শতভাগ জয় নিশ্চিত হয় অল রেডসদের। সবদিক থেকে কাল গুছানো ফুটবল খেলেছে শেফিল্ড ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা। আর সে কারনে তাদের সামাল দিতে গিয়ে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা। তবে ম্যাচ শেষের ২০ মিনিট আগে শেফিল্ড গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসনের পায়ের ফাঁক দিয়ে উইজনালডামের গোলে লিভারপুল শিবিরে স্বস্তি ফিরে আসে।
লিগে টানা ১৬টি ম্যাচে জয়ী লিভারপুল আগের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন সিটিজেনদের থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে ১৯৯০ সালের পর প্রিমিয়ার লিগে প্রথম শিরোপা জয়ের সুযোগ নষ্ট করে। তবে এবার প্রথম থেকেই তারা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থির করে সেই অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে। ম্যাচ শেষে ক্লপ বলেছেন, ‘আমাদের জন্য এই জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অবিশ্বাস্যভাবে আমরা আজ বড় সুযোগ হাতছাড়া করেছি। প্রথামার্ধে দু’টি এবং দ্বিতীয়ার্ধে একটি বড় সুযোগ এসেছিল। এর মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধেরটি আমরা কাজে লাগিয়েছি। এই ধরনের ম্যাচে সাধারনত ফলাফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।’
গোডিসন পার্কে সিটির শুরুটাই হয়েছিল চাপের মধ্যে। তবে ২৪ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোলে সিটিজেনদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসে। তবে পেপ গার্দিওলার দল আক্রমনভাগে যতটা উচ্ছল ছিল রক্ষণভাগে ছিল ঠিক ততটাই নিষ্প্রভ। পজিশনের পরিবর্তন করে কাল ফার্নান্দিনহোকে সেন্টার-ব্যাকে ও নিকোলাস ওটামেন্ডিকে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে খেলানো হয়েছে। ৩৩ মিনিটে ডোমিনিক কালভার্ট-লিউইন এভারটনকে সমতায় ফেরান। তবে শেষ পর্যন্ত রিয়াদ মাহারেজের নিখুঁত ফ্রি-কিক ও রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিটিজেনরা। এই জয়ের পরেও লিভারপুলের থেকে সিটিজেনদের পয়েন্টের পার্থক্য এখনো পাঁচ।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেছেন, ‘এই মাঠে খেলা সবসময়ই কঠিন। প্রথমার্ধে আমাদের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। প্রথম ২০-২৫ মিনিট পর আমাদের সমস্যা শুরু হয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সেই সমস্যা কাটিয়ে আমরা ম্যাচে আবারো এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেছি। এভারটনের খেলোয়াড়রা বেশ দ্রুত গতির। ডিফেন্সে তারা বেশ সমস্যা সৃষ্টি করে। তবে সব মিলিয়ে আমি খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সে আনন্দিত।’
সাউদাম্পটনের বিপক্ষে স্পার্স বস মরিসিও পোচেত্তিনো ঘরের মাঠের ম্যাচের জন্য তার পুরনো একাদশই সাজিয়েছিলেন। আগের সপ্তাহে কোলচেস্টারের কাছে পরাজিত হয়ে লিগ কাপ থেকে হতাশাজনক বিদায়ের ম্যাচটি থেকে ১১টি পরিবর্তন করে মূল একাদশ তৈরী করা হয়েছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এবারের মৌসুমে স্পার্সরা প্রথম আটটি ম্যাচের মাত্র দু’টিতে জয়ী হয়েছে। আর গতকাল যখন তারা ৩১ মিনিটে ১০জনের দলে পরিণত হয় তখনই দলের ভাগ্য নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। ২৪ মিনিটে টানগাই এডোম্বেলের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে গিয়েছিল। তবে ৩১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারনে সার্জি অরিয়ার মাঠ ত্যাগে বাধ্য হলে স্পার্স শিবিরে দু:শ্চিন্তা নেমে আসে। ৩৯ মিনিটে স্পার্স গোলরক্ষক হুগো লোরিস সাউদাম্পটনকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেন। লোরিসের ব্যর্থতায় ড্যানি ইনগেসের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় সাউদাম্পটন। তবে বিরতির ঠিক আগে হ্যারি কেনের গোলে আবারো এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
এই জয়ে ওয়েস্ট হ্যামকে পিছনে ফেলে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে টটেনহ্যাম। গত সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারানো ওয়েস্ট হ্যাম গতকাল বোর্নেমাউথের সাথে ২-২ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে।
বাসস/নীহা/১৬৩০/মোজা/স্বব