বাসস দেশ-৭ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে গুরুত্ব দিচ্ছে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

123

বাসস দেশ-৭ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শাহরিয়ার-রোহিঙ্গা-সংকট
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে গুরুত্ব দিচ্ছে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

তিনি বলেন, আমি আশাকরি আমরা খুব শিগগির তাদের কিছু সংখ্যককে ভাসানচরে স্থানান্তর করতে পারবো।
‘সেখানে পুকুর, পশু সম্পদ ও মৌলিক শিক্ষার নি¤œতম চাহিদা নিশ্চিত উল্লেখ করে শাহরিয়ার বলেন, কক্সবাজারের বর্তমান যেসব ক্যাম্পে তারা অবস্থান করছে তার চেয়ে সেটা উত্তম হবে।
তিনি বলেন সরকার স্থানান্তরের আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভাসান চরে নিয়ে যাবেন।
প্রতিমন্ত্রী তাদের প্রত্যাবাসন স্বেচ্ছাকৃত হবে বলে উল্লেখ করেন।
শাহরিয়ার তরুণদের কাছ থেকে গভীর উপলদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘সরকার সমস্যা সমাধানে বিচক্ষণ ও বিবেচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তোমাদের সরকারের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা উচিত।’
তাদের নিরাপদ ও টেকসই জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান আমাদের দায়িত্ব । সেখানে পানি সরবরাহসহ জীবনযাপনের মৌলিক প্রয়োজনীয় নিশ্চিত থাকায় তা অনেকটাই টেকসই।
তিনি বলেন , জীবনযাপনের কাজের সুবিধাদি নিয়েও তাদের মনে প্রশ্ন আছে।
কর্লিস বলেন, সরকার যদি ভাসানচরের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন চায়, তাহলে আর্থিক প্রস্তাবণারও প্রয়োজন হবে। তাহলে তা কক্সবাজার অপারেশনের চেয়ে ব্যয়বহুল হবে। আমরা আশা করছি যে, খুব তাড়াতাড়িই আলোচনা শুরু করবো।
তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন অসুবিধা থাকা সত্বেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি এখানে যতটুকু শান্তি ও নিরাপত্তা পাচ্ছে তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে তারা তা পায়নি।
স্টিভেন করলিস বলেন, সুবিধাজনকভাবে তাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসনের উল্লেখ করে বলেন, রাখাইনে শান্তি নিরাপত্তা বিধান করে তাদের জনসাধারণকে ফেরত পাঠানোর পরিবেশ সৃষ্টি করায় ‘ সমান অথবা আরো বেশি প্রচেষ্টা’ চালাতে হবে।
তিনি সরকার ও ইউএনসিএইচআর-এর যৌথ প্রচেষ্টায় বায়োমেট্রিক রেজিস্টেশন পদ্ধতির প্রশংসা করেন।
ইউএনসিএইচসিআর প্রতিনিধি উল্লেখ করেন, আমরা ইতোমধ্যেই ৬৭ শতাংশ কাজ শেষ করেছি আশা করা যাচ্ছে অক্টেবরের শেষ ভাগে বাকিটুকু শেষ করতে পারবো।
তিনি বলেন, এটি পরিস্কার তথ্য দেয় যে বাংলাদেশ যাদের আতিথেয়তা করছে তারা সেখানে অন্ততঃ একটি পরিচয় বহন করছে তাদের অনেকেরই কোনো পরিচয়পত্র নেই।
করেস্টভেন করলিস উল্লেখ করেন, এটি রোহিঙ্গাদের জন্য‘এক বিশাল প্রাপ্তি’ হয়ে দাঁড়াবে যে তারা তাদের নাগরিকত্ব দাবি করতে সক্ষম হবে। ১৯৮২ সালে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সাংবিধানিকভাবে রোহিঙ্গাদের নাগরিককত্ব বাতিল করে দেয়।
বাসস/পিআর/এমএম/অনু-জেজেড/১৭৫০/-আসচৌ