দুর্নীতির তদন্তে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে : দুদক চেয়ারম্যান

353

ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রমে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, তদন্ত কার্যক্রমে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দুর্নীতি সম্পর্কিত কোনো অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্তের জন্য কোনো সংস্থার নিকট তথ্য চাইলে যদি তারা তা সরবরাহ না করেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন বলে মনে করেন চেয়ারম্যান।
দুদক চেয়ারম্যান আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এবং ইউএনওডিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের উপপরিচালক থেকে তদুর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নলেজ শেয়ারিং সেশন পর্বে এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এবং ইউএনওডিসি আয়োজিত এক প্রশিক্ষন কর্মশালায় এসব কর্মকর্তারা অংশ গ্রহণ করেন।
ইকবাল মাহমুদ দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা শুধু চিঠি দিয়ে বসে থাকবেন-এটাও হবে না, আপনাদেরকেও ফরোয়ার্ড ডায়রি অনুসরণ করতে হবে, এর ব্যত্যয় ঘটলে আপনাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা অনেক কিছুই করতে পারি কিন্ত করি না, এটা হতে পারে না। এর সমাপ্তি হওয়া উচিত। ডাটা বা তথ্যের সঠিক বিশ্লেষণ হচ্ছে অপরাধীদের অপরাধ চিহ্নিত করার প্রাথমিক সোপান । এ পর্যায়েই প্রাসঙ্গিক ডাটা সংগ্রহ করতে হয় এবং অপ্রাসঙ্গিক ডাটা বাদ দিতে হয়।
তদন্তে সফলতার জন্য আরেকটি বড় কাজ হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ । হোমওয়ার্কের মাধ্যমে কর্মকৌশল না করে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপরাধীদের নিকট থেকে কাক্সিক্ষত তথ্যাদি পাওয়া কঠিন। তাই অবশ্যই তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পূর্বেই যথাযথ হোমওয়ার্ক করে প্রশ্নমালা তৈরি করতে হবে এবং নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
তিনি বলেন, কমিশন ইতোমধ্যেই অন্যান্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে মানিলন্ডারিংয়ের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রয়োজনে আইনি প্রক্রিয়ায় আরও যৌথ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সম্পদ সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাটা স্প্রেড শিট প্রদর্শন করা সমীচীন।
কমিশন প্রত্যাশা করে প্রতিটি মামলার নিখুঁত এবং আন্তর্জাতিক মানের তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। সঠিকভাবে তদন্ত ও প্রসিকিউশন হলে কমিশনের মামলায় শতভাগ সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক (তদন্ত) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) এএনএম আল ফিরোজ, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোঃ জহির রায়হান, মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) একেএম সোহেল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।